নিজস্ব প্রতিবেদন:-  দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে সাধারণ মানুষ, বিকেল পাঁচটা বাজতেই হাততালি দিয়ে ধন্যবাদ জানালেন। করোনার বিরুদ্ধে লড়ছেন এমন যোদ্ধাদের উদ্দেশে হাততালি, ঘণ্টা, কাঁসর বাজিয়ে কুর্নিশ জানান দেশবাসী। রাষ্ট্রপতি ভবনে সপরিবারে হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে হাততালি দিতে দেখা গেল লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর, প্রহ্লাদ জোশী ঘণ্টা, থালা বাজিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন।




COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনা সংক্রমণ রুখতে নিজের জীবন বিপন্ন করে অবিরাম কাজ করে চলেছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। শুধু তাঁরাই নন, বিমানবন্দর, মেট্রো থেকে জরুরী পরিষেবায় যাঁরা প্রতি দিন নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন তাঁদের জন্য রবিবার বিকেল ৫টায় দেশবাসী হাততালি দিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। কেউ কেউ কাঁসর, ঘণ্টা, শঙ্খ বাজিয়ে কুর্নিশ জানান। কলকাতা, বেঙ্গালুরু, নয়ডা, মুম্বই-সহ একাধিক শহরে একই ছবি ফুটে ওঠে।



প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর কাছে ‘আবদার’ করেছিলেন, রবিবার মানুষ যেন স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি হন। যাকে ‘জনতা কার্ফু’ নাম দেন তিনি। আর দিনের শেষে হাততালি, ঘণ্টা, কাঁসর বাজিয়ে ধন্যবাদ জানানো হোক, যাঁরা করোনার বিরুদ্ধে প্রতিদিন লড়ছেন। করোনাকে প্রতিরোধ করতে এর থেকে ভাল দাওয়াই হয়ত কিছু নেই।



প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিলেন সকলে। ঠিক বিকেল ৫ টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই সারা দেশে পড়ল হাততালি। কাঁসর, থালা বাজিয়ে সম্মান জানানো হল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করা হল সাফাইকর্মী, সাংবাদিক ও পুলিসকর্মীদের।



আরও পড়ুন- ছ'দিনে করোনা আক্রান্ত রোগীকে সারিয়ে তুলছে এই ওষুধ! দাবি তিন দেশের গবেষকদের




করোনা মোকাবিলায় অংশগ্রহণ করেছে সারা দেশ। প্রথম সারিতে থেকে লড়ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদেরই উৎসর্গ করে সারা দেশ ঠিক বিকেল ৫ টায় তুলল ধন্যবাদের আওয়াজ।  আকাশে উড়ল তেরঙ্গা। কেউ কেউ স্লোগানের মাধ্যমে জানালেন সম্মান। কেউবা সম্মান জানালেন ভজন গেয়ে। সারা দেশ জুড়ে করোনা থাবায় বেহাল দশা। সারা দেশে করোনা আক্রান্ত প্রায় ৩৫০ মানুষ।  রবিবার "জনতা কার্ফু"-র দিনে রাস্তাঘাট ছিল কার্যত শুনশান। সকলে নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন।