নিজস্ব প্রতিবেদন : একজনের বয়স ১২। আরেকজনের ১৩। সামান্য় একখানা পেন নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল দুই সহপাঠীর মধ্যে। কিন্তু এর পর নাবালিকা যে কাজটি করল তা শুনে হাড় হিম হয়ে যেতে পারে। ১৩ বছরের মেয়েটিকে খুন করেছে সেই নাবালিকা। শুধু তাই নয়, বাচ্চা মেয়েটির দেহ বেসমেন্ট-এর এক জায়গায় লুকিয়ে রেখেছিল সে। রাজস্থানের বড়লি গ্রামের ঘটনা। বুধবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল মেয়েটি। শেষমেশ তাঁর দেহ পাওয়া যায় স্থানীয় একটি জলাশয়ের পাশের ঝোঁপে। পুলিস জানিয়েছে, নাবালিকার দেহ জলাশযে ফেলে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সহপাঠীকে বাড়িতে ডাকার পর তাঁর মাথায় ১৯ বার লোহার রড দিয়ে আঘাত করে সেই নাবালিকা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সেই নাবালিকার। এর পর নাবালিকার মৃতদেহ বেসমেন্ট-এ লুকিয়ে রাখে সে। মা-কে গোটা ঘটনার কথা জানায় সে। এর পর মেয়েকে বাঁচাতে তিনিই সেই নাবালিকার দেহ স্থানীয় এক জলাশয়ে ফেলে আসেন। মেয়েটির মা-বাবাকে আটক করেছে পুলিস। সহকর্মীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সেই নাবালিকা। এর পর থেকেই সে নিখোঁজ। পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে সেই নাবালকের মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাতে তাঁরা জানান, মেয়েটি তাঁদের বাড়িতে আসেননি। সন্দেহের শুরু এখান থেকেই।


আরও পড়ুন-  হায়দরাবাদের ছায়া এবার যোগীর রাজ্যে, ধর্ষণের পর তরুণীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা কাকার


তল্লাশির পর মেয়েটির কানের একটি দুল পাওয়া যায় সেই নাবালিকার বাড়ি থেকে। এর পরই জেরার মুখে অপরাধ স্বীকার করে নেয় সেই নাবালিকা। মেয়েটির মা নাবালিকার দেহ বস্তায় ভরে জলাশয়ে ফেলেছিলেন। দেহ যাতে জলের উপরে উঠে না আসে তাই বস্তার সঙ্গে একখানা ভারি ইট বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে নাবালিকার বাবা জলাশয় থেকে দেহ তুলে এনে পাশেই একটি ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে রাখেন। তাঁর যুক্তি ছিল, জলে দেহ থাকলে বাচ্চা মেয়েটির আত্মা শান্তি পাবে না!