নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজস্বীর নেশা থেকে কারওর মুক্তি নেই। তা সে সেলিব্রিটিই হোন বা মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী।  দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত প্রথম ক্রুজে উঠে সেলফি জ্বরে আক্রান্ত হলেন ফড়ণবীসের স্ত্রী। তাঁকে নিরস্ত করতে গিয়ে গলদঘর্ম হলেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিস কর্মী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার দেশীয় প্রযুক্তি নির্মিত প্রথম ক্রুজটিকে সবুজ পতাকা দেখিয়ে যাত্রার সূচনা করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস ও কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ি। এটি প্রতি সপ্তাহে চারবার মুম্বই থেকে গোয়ার মধ্যে যাতায়াত করবে। ওই ক্রুজেই ছিলেন ফড়ণবীসের পত্নী অমৃতা। হঠাত্ জাহাজের শেষপ্রান্তে গিয়ে বসে পড়েন তিনি। এরপর নিজস্বী নিতে থাকেন। 


ভাইরাল ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, সাদা সালওয়ার স্যুট পরে ক্রুজের একেবারে ধারে বসে পড়েন অমৃতা ফড়ণবীস। সঙ্গে সঙ্গে পিছনে চলে আসেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিস আধিকারিকরা। তাঁকে বিনীতভাবে ফিরে আসার অনুরোধ করেন তাঁরা। কিন্তু কোনও কথাই শুনতে চাননি ফড়ণবীসের স্ত্রী। নিজের স্মার্টফোন বের করে নিজস্বী তুলতে থাকেন তিনি। নিরাপত্তার কারণে ওই জায়গাটিতে যাওয়ার অনুমতি নেই, অথচ মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী সেখানেই চলে গেলেন।               



ভেসেলটি ক্যাপ্টেন আরউইন সেকুরার মালিকাধীন। ১৫ বছর ক্রুজ চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ক্রুজে ছটি ডেক ও ১০৪টি কেবিন রয়েছে। একসঙ্গে ৩৯৯ জন যাত্রী সওয়ারি করতে পারেন ক্রুজে। টিকিটের দাম থাকতে পারে ৭,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকার মধ্যে। সপ্তাহে চারবার গোয়া ও মুম্বইয়ের চলাচল করবে এই ক্রুজ। 


আতিথেয়তার জন্য থাকবেন ৬৭ জন সদস্য। ক্যাপ্টেনকে সহযোগিতার জন্য থাকবেন ৪ জন কেবিন আধিকারিক। ১৯৯৬ সালে তৈরি এমভি আঙ্গারিয়াতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। 


২৪ অক্টোবর থেকে বাণিজ্যিকভাবে চলতে শুরু করবে জাহাজটি। মুম্বইয়ের পার্পল গেট অব প্রিন্সেস ঘাট থেকে দক্ষিণ গোয়ার মার্মাগাওয়ের মধ্যে চলাচল করবে। সময় লাগবে ১৪ ঘণ্টা।  


আরও পড়ুন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে আপত্তি দিল্লির রোহিঙ্গা শরণার্থীদের