নিজস্ব প্রতিবেদন- কলেজ ছাত্রীকে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেছিল দুই যুবক। সেই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে তখন তাঁর এক বান্ধবীও ছিল। হঠাৎ করেই একটি সাদা গাড়ি এসে যুবতীর সামনে দাঁড়ায়। তারপর গাড়ি থেকে দুই যুবক নেমে এসে বি কম তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী নিকিতা তোমরকে অপহরণের চেষ্টা করে। কিন্তু কোনওভাবেই তারা নিকিতাকে জোর জবরদস্তি গাড়িতে তুলতে পারে না। আর তখনই রাগের বশে একজন যুবক নিকিতাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নিকিতা। ওই দুই যুবক এরপর গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায়। সঙ্গে থাকা বান্ধবী নিকিতার সামনে গিয়ে দেখে, তাঁর দেহ নিথর হয়ে মাটিতে পড়ে রয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফরিদাবাদের বল্লভগড় থানার মিল্ক প্লান্ট রোডের এই ঘটনা কিন্তু রাতের অন্ধকারে ঘটেনি। ঘটেছে একেবারে দিনের আলোয়। যে সময় যুবতীকে অপহরণের চেষ্টা করা হচ্ছিল, তখন সামনাসামনি অনেকেই ছিলেন। কিন্তু কেউই সেই অপহরণ রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেননি। প্রকাশ্য রাস্তায় দিনের আলোয় এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা করল দুজন যুবক। ব্যর্থ হয়ে রাস্তার উপরে তৃতীয় বর্ষের সেই কলেজ ছাত্রীকে গুলি করে পালিয়ে গেল। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে আরো একবার বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল। সারা দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মেয়েদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা। বাড়ি হোক বা বাড়ির বাইরে, মেয়েদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন যেন এদেশে এখন জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে।


আরও পড়ুনহাথরস কাণ্ড : দিল্লি নয়, মামলা এলাহাবাদ আদালতে ফেরাল সুপ্রিম কোর্ট


এই ঘটনায় আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, দু'বছর আগে নিকিতাকে আরো একবার অপহরণের চেষ্টা করেছিল একই যুবক। সেবার নিকিতার পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু জানাজানি ও লোকলজ্জার ভয়ে শেষ পর্যন্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করেন নিকিতার বাবা। অন্যদিকে পুলিস আর এই ঘটনা নিয়ে কোনও তদন্ত করেনি। এখন নিকিতার বাবা মুলচন্দ আফশোস করে বলছেন, সেদিন ওই যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে এখন হয়তো তাঁর মেয়ে বেঁচে থাকত! জানা গিয়েছে, তৌসিফ নামের সেই যুবক স্কুল জীবন থেকেই নিকিতাকে বিরক্ত করে। পুলিসের ধারণা, বহু বছর ধরেই নিকিতার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছিল তৌসিফ। কিন্তু নিকিতা বারবারই তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। আর তাই প্রতিশোধ স্পৃহায়  যুবক তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলল।