কমলিকা সেনগুপ্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২ অগস্ট। শিলচরে আসবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। আগের দিনই সেখানে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। সকালে ডিসি আমায় ফোনে জানালেন, নাগরিকপঞ্জির রূপায়নে সমস্যা হয়, এমন কোনও কাজ করা যাবে না। বুঝলাম, আজ দক্ষযজ্ঞ বাধতে চলেছে শিলচরে।


১১.৫৫ মিনিটের উড়ানে গুয়াহাটি থেকে শিলচরের উদ্দেশে রওনা দিলাম। শিলচরের নেমেই বুঝলাম, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি গোটা বিমানবন্দরে। পুলিসে পুলিসে ছয়লাপ। তৃণমূল সাংসদদের আটকাতেই এই ব্যবস্থা। সাংবাদিক হিসেবে ছবির জন্য ভিতরে থাকতে চেয়েছিলাম, তবে চিনে ফেলল পুলিস। বাইরে বেরিয়ে দেখলাম,  পুলিসের বিশেষ কম্যান্ডোবাহিনীর শতাধিক জওয়ান দাঁড়িয়ে আছেন।


ঘড়ির কাঁটায় ১.৫৫ মিনিট বাজতেই প্রস্তুতি নিয়ে ফেললাম। এবার বেরিয়ে আসবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তবে ভিতর থেকে ভেসে এল চেঁচামেচির শব্দ। ফোনে সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানালেন, তাঁদের ওপরে অত্যাচার করছে অসম পুলিস। বললাম, দিদি ছবি করে দাও। যে ছবি বাইরে এলো তা মারাত্মক। বিধায়ক মহুয়া মৈত্র, সাংসদ মমতা ঠাকুরকে টানাহ্যাঁচড়া করছে পুলিস। অসমের ছোট্ট বিমানবন্দরই চলে এল দেশের শিরোনামে। 


আরও পড়ুন- অসম থেকে ফিরছি পর্ব ১: নাম আছে? অসমজুড়ে একটাই প্রশ্ন


রাত পর্যন্ত আমরাও বিমানবন্দরে। তৃণমূলের প্রতিনিধিদের গ্রেফতার করল পুলিস। রাতে সেখানেই থাকলেন তাঁরা। পরে খবর এল, সকালে উড়ান ধরে গুয়াহাটি যেতে দেওয়া হবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। সোজা পাঠিয়ে দেওয়া হবে কলকাতায়। বেনজির রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সাক্ষী থাকল শিলচর। সাক্ষী থাকলাম আমি।


আরও পড়ুন- অসম থেকে ফিরছি পর্ব ২: 'জোয়ানদের তুলে নিয়ে গেল পুলিস,' আশঙ্কার প্রহর নেলির রোজনামচায়