নিজস্ব প্রতিবেদন: সদা সতর্ক চৌকিদার। দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরেও। রবিবার, বিহারের গান্ধী ময়দানে সঙ্কল্প জনসভায় এ ভাবেই নিজেকে তুলে ধরলেন নরেন্দ্র মোদী। গত ৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর চৌকিদারি কতটা সাফল্যের সঙ্গে করছেন, তার পুঙ্খানুপঙ্খ খতিয়ানও তুলে ধরলেন তিনি। কৃষক সমস্যা, বেকারত্ব থেকে দেশের নিরাপত্তা, প্রায় ৩৬০ ডিগ্রি বৃত্তে ছিল তাঁর নজরদারি। বিরোধীরা যতই তাঁর বিরুদ্ধে ‘কুত্সা’ ছড়াক, তিনি জানেন জবাব কীভাবে দিতে হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এ দিন এই প্রথম এক দশক পর এক মঞ্চে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নীতীশের হাতে কীভাবে ‘নতুন বিহার’ তৈরি হচ্ছে তার প্রশংসা শোনা গেল মোদীর গলায়। তিনি বলেন, নীতীশ কুমারই একমাত্র বোঝেন কংগ্রেস সরকারের বঞ্চনা। অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নীতীশের কর্মকাণ্ডের ঢালাও প্রশংসা করেন মোদী। পাশাপাশি, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদের নাম না করে পশুকেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষও করেন তিনি।


আরও পড়ুন- বাজপেয়ীর পর মোদী, ১৪ বছরে সর্বনিম্ন কৃষিতে আয় বৃদ্ধির হার


এ দিনও নরেন্দ্র মোদী তাঁর রাজনৈতিক জনসভায় প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সেনার কৃতিত্বকে ঢাল করে বক্তৃতা রাখেন। বিরোধীদের এক হাত নেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধীরা যে কথায় কথা বলছেন, তাতে শত্রুপক্ষের মুখ উজ্জ্বল হচ্ছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে এখানকার নেতাদের নিয়ে প্রশংসা হচ্ছে। মোদীর আরও অভিযোগ, এর আগে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিল, এবার এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। জওয়ানদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন- মাসুদ আজহারের ভাই স্বীকার করলেও বালাকোট বিমান হানার প্রমাণ চাইলেন দিগ্বিজয় সিং


যদিও বিরোধীদের বিরোধিতায় মোদী মূর্ছা যাওয়ার পাত্র নন, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন তিনি। পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর বলে উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ইঞ্চি ইঞ্চিতে বদলা নেওয়া হবে। এ দেশ জানে কখন কোথায় কীভাবে জবাব দিতে হয়।


মোদী এ দিন জানান, বিশ্বের দরবারে ভারতকে তুলে ধরতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন তিনি। আয়ুষ্মান স্বাস্থ্য বিমা, উজ্বল যোজনা, অটল পেনশন, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের মতো নানা প্রকল্পের উদাহরণ টেনে আনেন মোদী। বিরোধীদের কটাক্ষ করে মোদী বলেন, মহাজোট ক্ষমতায় থাকলে এই উন্নয়ন হতো না। ওরা নিজেদের বিকাশ করতে মত্ত। নিজেদের স্বার্থ দেখতেই ব্যস্ত। মোদী এ দিন আরও বলেন, “ওরা আমাকে খতম করতে চায়, কিন্তু আমি চাই সন্ত্রাসবাদকে খতম করতে।”