নিজস্ব প্রতিবেদন: চন্দ্রযান ২ অভিযানকে কটাক্ষ করায় পাকিস্তানের বিজ্ঞানমন্ত্রীকে বিঁধলেন ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমন্ট অরগানাইজেশন(ডিআরডিও) প্রধান সতীশ রেড্ডি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাক মন্ত্রীকে কটাক্ষ করে ডিআরডিও প্রধান বলেন, ‘যারা এই ধরনের কোনও কাজ কখনও করেনি তারা এই অভিযান কতটা জটিল তা বুঝতেই পারবে না। ফলে তারা এর প্রশংসাও করতে পারবে না। ইসরোর বিজ্ঞানীরা কঠোর পরিশ্রম করে চাঁদের মাটিতে বিক্রমকে খুঁজে বের করেছেন। খোদ প্রধানমন্ত্রী ইসরো চেয়ারম্যানকে উত্সাহ দিয়েছেন। তাঁর এই কাজ অত্যান্ত প্রসংশনীয়।’




আরও পড়ুন-মাথায় সিঁদুর নিয়ে অন্যের স্বামীকে নিয়ে ঘোরা বাংলার মানুষ পছন্দ করে না


উল্লেখ্য, চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার ওপরে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর। ক্র্যাশ ল্যান্ডিংয়ের সময়ে এই ধরনের ঘটনার কথা বিশ্বকে জানিয়ে দেয় ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। তার পরেই উল্লাসে ফেটে পড়েন পাক বিজ্ঞানমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি।



পাক বিজ্ঞানমন্ত্রী একের পর এক টু্ইট করে ভারতকে নিশানা করতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘যে কাজ করতে পার না তার চ্যালেঞ্জ নাও কেন? প্রধানমন্ত্রী মোদীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ইসরোয় মোদী যেভাবে বক্তৃতা করছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল তিনি নিজেই একজন মহাকাশচারী। ভারতের মতো এক গরিব দেশের ৯০০ কোটি টাকা খরচ করার অর্থ কি?’ ফাওয়াদের ওই মন্তব্যে সমালোচনা করেছেন সে দেশের মানুষজন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে তুলোধনা করা হয় একের পর এক মন্তব্যে।



আরও পড়ুন-চাঁদের বুকে খোঁজ মিলল বিক্রমের, ইসরোর হাতে এল ছবি


ভারতের চন্দ্রযান ২ অভিযানের প্রসংশা করেন সেদেশের একমাত্র মহিলা মহাকাশচারী নামিরা সালিম। চন্দ্রযান-২ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডার বিক্রমের সফট ল্যান্ডিংয়ের ঐতিহাসিক প্রচেষ্টার জন্য আমি ভারত আর ইসরোকে শুভেচ্ছা জানাই।” নামিরা জানান, এই অভিযান মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে সত্যিই একটা বিরাট পদক্ষেপ। এই অভিযানে ভারত বা দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়াই নয়, লাভবান হবে গোটা বিশ্ব।