ওয়েব ডেস্ক: ভাল নেই 'মৃত্যুঞ্জয়ী' জওয়ান হনমন্থাপ্পা। কিডনি ও লিভার কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। রক্তচাপও খুব কম। বুধবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত হনুমন্থাপ্পা কোপ্পাড়ের মেডিক্যাল বুলেটিনে এমনই জানানো হয়েছে। আগেই বলা হয়েছিল ৬ দিন বরফের তলায় চাপা থাকার ফলে, ফুসফুসে নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে। কোমায় আচ্ছন্ন হনমন্থাপ্পাকে পুরোপুরি লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হচ্ছে। হনমন্থাপ্পার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষার জন্য রয়েছে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দল। সেই দলে রয়েছেন কিডনি বিশেষজ্ঞ, স্নায়ু বিশেষজ্ঞ,শল্যচিকিৎসক, ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশালিস্ট।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিন অনুযায়ী, সিটি স্ক্যানে ধরা পড়েছে, তাঁর মাথায় ঠিকমতো অক্সিজেনের সঞ্চালন ঘটছে না। আগে, কিডনি ও লিভার কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। রক্তচাপও খুব কম। এখন টানা ৬ দিন বরফের তলায় চাপা থাকার ফলে, ফুসফুসে নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে। কোমায় আচ্ছন্ন হনমন্থাপ্পাকে পুরোপুরি লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে।


জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত শরীরে রক্ত চলাচাল এবং প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেওয়ার জন্য কোপ্পাডকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে। এমনটাই জানানো হয়েছিল আজ সকালে দিল্লির সেনা হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিনে। পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও চিকিত্‍সকরা মনে করছেন যে আরও একটা মিরাকেলই হয়ত বাঁচাতে পারে ল্যান্স নায়েক কোপ্পাডকে। গতকালই তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পরিক্কর এবং সেনা প্রধান দলবীর সিং সুহাগ। গোয়া থেকে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছে উদ্ধার হওয়য়া জওয়ানের পরিবার।


বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহের সোনাম পোস্টে কর্তব্যরত ছিলেন মাদ্রাস রেজিমেন্টের নয় জওয়ান এবং একজন জুনিয়ার কমিশনড অফিসার। তুষারধ্বসে তাঁদের ওপর ৮০০ ফিটের একটি বরফের দেওয়াল ভেঙে পড়ে। নিখোঁজ হন ১০ জওয়ান। তাঁদের উদ্ধারের আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ছদিন বাদে ২৫ থেকে৩০ ফিট বরফের নিচে আটকে থাকার পর, সোমবার উদ্ধার হন ল্যান্সনায়েক কোপাড্ড। সেটাও ছিল একটা মিরাকেল।