নিজস্ব প্রতিবেদন: রাফাল থেকে মুখ বাঁচাতে পাকিস্তানকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে মোদী সরকার, সোমবার এমন অভিযোগ করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন পাকিস্তানের মন্ত্রী। সেই সুরই শোনা গেল কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার গলায়। তাঁর দাবি, যখনই দুর্নীতিতে জড়ায় বিজেপি, তখনই পাকিস্তান মনে পড়ে যায় তাদের। পাকিস্তানের কাছে নতমস্তক হয়ে গিয়েছে মোদী সরকার। সুরজেওয়ালার অভিযোগ, রাফাল বিমান দুর্নীতিতে ধরা পড়ে গিয়েছে বিজেপি। ভয় পেয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলছে তারা। দুর্নীতিতে জড়ালেই পাকিস্তানের কথা মনে পড়ে তাদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাফাল নিয়ে মোদী সরকারকে বিঁধে রাহুলের টুইট রিটুইট করেছিলেন পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ফাওয়াদ হুসেন। তারপরই অমিত শাহ টুইটারে প্রশ্ন তোলেন, রাহুল গান্ধী বলছেন, মোদী হঠাও। পাকিস্তানও বলছে, মোদী হঠাও। রাহুলের ভিত্তিহীন অভিযোগকে সমর্থন করছেন পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহাজোট করছেন রাহুল গান্ধী? এদিন আবার ফাওয়াদ বলেন, ''রাফালের বিলিয়ন ইউরোর দুর্নীতি থেকে মুখ বাঁচাকে পাকিস্তানকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে ভারত সরকার''।  


এদিনই বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত্ পাত্র অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় কংগ্রেস ও পাকিস্তানি নেতা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান-সহ বেশ কয়েকজন পাক নেতার টুইট তুলে ধরে সম্বিতের প্রশ্ন, পাকিস্তানের নেতারা কি রাহুলের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন না?          


'পাক প্রেম' নিয়ে পাল্টা একগুচ্ছ প্রশ্নবাণ ছুড়ে দিয়েছেন রণদীপ সুরজেওয়ালা। তাঁর প্রশ্ন,  প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে আলোচনার সময়ে পাক প্রেম জাগেনি? বিনা আমন্ত্রণেই যখন পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছিলেন, তারপরই পঠানকোট হামলা, তখন পাক প্রেম জাগেনি?যখন তদন্তের জন্য আইএসআই-কে ভারতে আসতে অনুমতি দিয়েছিলেন শাহ-মোদী, তখন পাক প্রেম জাগেনি?     


রণদীপ সুরজেওয়ালার দাবি, মোদী সরকার দুর্বল। জওয়ানদের নৃশংস আচরণ করছে পাকিস্তান, আর সরকার আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে। পাকিস্তানের সামনে নতমস্তক হয়ে গিয়েছে সরকার।


রাফাল বিতর্কে রাহুলের জামাইবাবু রবার্ট বঢরাকে টেনে এনেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা গজেন্দ্র সিং শেখাবত বলেন,''রাফাল চুক্তিতে রবার্ট বঢরা ও সঞ্জয় ভান্ডারির কোম্পানিকে লাভবান করতে চেয়েছিল ইউপিএ সরকার। তবে তা সম্ভব হয়নি। সেই আক্রোশে এখন রাফাল চুক্তি বাতিল করতে চাইছে তারা। বিষয়টি নিয়ে কেন রাজনীতি করছে কংগ্রেস, তার জবাব দিতে হবে তাদের''। শেখাবতের দাবি, ''সঞ্জয় ভন্ডারির নাম নিশ্চিতভাবে জানেন বঢরা। প্রতিরক্ষা চুক্তি ও এক্সপোতে দুজনকে একসঙ্গে একাধিকবার দেখা গিয়েছে।গতবারও সঞ্জয়ের কোম্পানির মাধ্যমে রাফালে অংশীদার হতে চেয়েছিলেন বঢরা। কিন্তু বেশি দর হেঁকেছিল সঞ্জয়ের কোম্পানি। এজন্যই ফের ক্ষমতায় এসে নিজের চেনাশোনা ব্যক্তিকে চুক্তিতে সামিল করতে চাইছে কংগ্রেস''।  


আরও পড়ুন- রাফাল দুর্নীতিতে রবার্ট বঢরার নাম টেনে আনল বিজেপি