নিজস্ব প্রতিবেদন: গোয়ায় সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। সরকার বাঁচাতে এখন তত্পরতা তুঙ্গে গেরুয়া শিবিরে। রবিবার সেখানে যেতে পারেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-Exclusive: মিমির পাল্টা শ্রাবন্তীকে প্রার্থী করে গ্ল্যামারে শাসককে টেক্কা বিজেপির?  


সূত্রের খবর, আজ পঞ্জিমে বিজেপির জোট শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন অমিত শাহের প্রতিনিধরা। মনে করা হচ্ছে গোয়ায় পাঠানো হতে পারে নিতিন গডকরিকে। কারণ তিনিই ছিলেন গোয়া বিধানসভা নির্রাচনে দলের পর্যবেক্ষক।



বিজেপি সূত্রে খবর, জোটের সব বিধায়কদের গোয়া ছাড়তে নিষেধ করেছে বিজেপি। পাশাপাশি মনোহর পর্রীকরের জায়গায় অন্য একজন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী খোঁজার কাজ শুরু করেছে দল। সূত্রের খবর দলের বিধায়কদের মধ্যে থেকেই কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়ার দাবি উঠেছে।


পর্রীকরের অসুস্থাতার ফলে দল যে এক নতুন নেতা বেছে নিতে চলেছে তার ইঙ্গিত মিলেছে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বিজেপি নেতার কথাতেই। গোয়ায় বিজেপির কোর কমিটির সদস্য দয়ানন্দ মান্ডরেকর সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মনোহর পর্রীকর যদি ভালো থাকতেন তাহলে কোনও সমস্যা ছিল না। এখন উনি গুরুতর অসুস্থ। দিন দিন তাঁর অবস্থার অবনতি হচ্ছে। এখন সরকার চালাতে গেলে একজন মুখ্যমন্ত্রী চাই।



প্রসঙ্গত, গোয়ায় বিজেপির জোটসঙ্গি হিসেবে রয়েছে মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি(৩ বিধায়ক), গোয়া(৩ বিধায়ক) ফরওয়ার্ড পার্টি ও ৩ নির্দল। শনিবার জোটের ৬ বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের সঙ্গে দেখা করে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়ে এসেছেন। তাতেও বিপদ কাটছে না।



কেন এই সংকট?  গোয়া বিধানসভায় মোট আসন ৪০। এর মধ্যে ৩ আসন এখন খালি রয়েছে। এই মুহূর্তে কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ১৪ বিধায়ক। বিজেপি জোটের হাতে ছিল ১৫ বিধায়ক। কিন্তু সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে বিজেপি বিধায়ক সুভাষ শিরোদকরের। তার পরেও কংগ্রেসের কাছ থেকে কোনও চাপ আসছিল না। তবে সমস্যার সৃষ্টি হয় বিধায়ক ফ্রান্সিস ডিসুজার মৃত্যুতে। ফলে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা গিয়ে হয় ১৩। এর ফলে বিজেপি জোটের হাতে এখন ২২ বিধায়ক। ম্যাজিক ফিগারের থেকে ১ আসন বেশি।


আরও পড়ুন-'বারুদের স্তূপ' বাঁকুড়া? লরির ভিতর উদ্ধার বস্তা বস্তা বিস্ফোরক!


এরমধ্যেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। ফলে সরকার গঠনের দাবি আরও জোরাল ভাবে তুলছে কংগ্রেস। উল্লেখ্য, এর আগেও রাজ্যপালের কাছে গিয়ে সরকার গঠনের দাবি করেছে। তাদের দাবি মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর গুরুতর অসুস্থ। এতে সরকারি কাজকর্ম ব্যহত হচ্ছে। তাই পর্রীকরকে সরিয়ে দেওয়া হোক ও আস্থা ভোট নেওয়া হোক।