নিজস্ব প্রতিবেদন : গুজরাট নির্বাচনের আগে পাক বিদেশমন্ত্রী ও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-সহ একাধিক কংগ্রেস নেতা। গুজরাট ভোটকে প্রভাবিত করতেই কংগ্রেস আদতে পাকিস্তানের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল ওই বৈঠকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে বিরোধী রাজনৈতিক মহলে। এবার সেই বিতর্কের ঢেউ এসে পড়ল সংসদে। গুজরাট নির্বাচনের কারণে শুক্রবার কিছুটা দেরিতে শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। এদিন সভার সূচনাতেই পাকিস্তান ইস্যুতে কংগ্রেসের বিক্ষোভের মুখে পড়ে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীকে নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করে কংগ্রেস। অন্যদিকে, কংগ্রেসের এই দাবিকে নস্যাত্ করে দিয়ে ফের একই বিষয়ে সরব হন বিজেপি সাংসদরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- তিন তালাক শাস্তিযোগ্য অপরাধ, বিলে অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার


এদিকে, শুক্রবার অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলগুলিকে শৃঙ্খলা মেনে কাজ করতে বলেন। তাঁর কথায়, দেশের স্বার্থে প্রতিটি রাজনৈতিক দল একযোগে কাজ করলে এবারের অধিবেশন থেকে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে। সাধারণ ভাবে প্রত্যেক বছর নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। কিন্তু এবার সেই অধিবেশন শুরু হল ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে। ফলে সাধারণ ভাবে ২০ থেকে ২১টি বৈঠকের বদলে এবার ২০দিনে ১৪টি বৈঠকেই সীমাবদ্ধ রাখতে হচ্ছে এই অধিবেশন।


 



প্রসঙ্গত, এবারের অধিবেশনে জিএসটি বিল, তিন তালাকের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। তারই মাঝে প্রধামন্ত্রীর মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, আমাদের দাবি, এই অধিবেশন বন্ধ করে নিজের বক্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী আগে ক্ষমা চান। আর যদি তা না করেন তাহলে নিজের দাবির স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ জমা দিন। কারণ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি ও প্রাক্তন সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে যে ভয়ঙ্কর অভিযোগ তিনি তুলেছেন তা জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে। তাই ক্ষমা তাঁকে চাইতেই হবে।