নিজস্ব প্রতিবেদন: দলের প্রাক্তন সভাপতিকে অসম্মান করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে প্রাক্তন সভাপতিদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় সীতারাম কেশরির নাম। আর তা নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে হইচই শুরু হয়ে যায়। তার পরই দ্রুত প্রয়াত ওই কংগ্রেস নেতার নাম প্রাক্তন সভাপতিদের তালিকায় ফিরিয়ে আনা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কিন্তু পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গিয়ে ফের গোলমাল করে ফেলে কংগ্রেস। সীতারাম কেশরির নাম বসাতে গিয়ে বাদ পড়ে যায় সোনিয়ার নাম। পরে আবার সেই ভুল সংশোধন করা হয় কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে। শেষবার সংশোধনের সময় কেশরী ও সোনিয়ার নাম অন্তর্ভুক্ত হলেও বাদ পড়ে যায় বর্তমান সভাপতি রাহুল গান্ধীর নাম।


আরও পড়ুন: ‘অনামী শৃঙ্গের’ কোলেই মিলল ৫ পর্বতারোহীর দেহ, বাকিদের খোঁজে চলছে কপ্টার-তল্লাশি


কেন এভাবে দলের ওয়েবসাইট থেকে প্রাক্তন সভাপতির নাম বাদ পড়ল, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কংগ্রেসের দাবি, কিছু সমস্যার কারণেই এই ভুল হয়েছে। তাই পরে তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।



কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সময়কাল ধরে দলের সভাপতিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বশেষ সময়কাল হল ১৯৯০ থেকে ২০১৮ সাল। প্রথমে দেখা যায় ওই সময় দলের সভাপতিদের নামের তালিকায় প্রয়াত পিভি নরসিমা রাও-এর পরের নামটিই সোনিয়া গান্ধীর। অথচ ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল, দু’বছর কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব সামলেছিলেন কেশরী।


আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে অমিত শাহকে আক্রমণ মেহবুবার, পাল্টা তোপ গম্ভীরের


কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন সীতারাম কেশরী। বিহারে সভাপতি হয়েছিলেন। কাটিহার থেকে নির্বাচনে জিতে সাংসদও হয়েছিলেন। রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন তিনি। এমনকী ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী ও নরসিমা রাওয়ের সরকারে তিনি মন্ত্রীও হয়েছিলেন।



১৯৯৭ সালে দেবেগৌড়ার সরকার থেকে কংগ্রেসের সমর্থন তিনি সরিয়ে নিয়েছিলেন। পরে আই কে গুজরালকে প্রধানমন্ত্রী করে সেই সঙ্কট কাটানো হয়েছিল। সেই থেকেই কংগ্রেসের অন্য নেতাদের সঙ্গে তাঁর বিবাদের শুরু হয়। তখনই তাঁকে সরিয়ে দলের হয়ে প্রচার শুরু করেন সোনিয়া গান্ধী।



আরও পড়ুন: লাথির পর এনসিপি-র নেত্রীকে রাখি পরিয়ে দিলেন বিজেপি বিধায়ক


১৯৯৮ সালে সোনিয়া সীতারামকে সরিয়ে কংগ্রেসের সভাপতি হন। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া নেই ব্যাপক বিতর্ক হয়। অভিযোগ ওঠে যে অসম্মান করে সীতারামকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় সীতারামকে। এর পর ২০০০ সালে সীতারামকে আর রাজ্যসভার সাংসদও করা হয়নি। ফলে সেই বিতর্কের রেশই এদিনের ঘটনা কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।