কংগ্রেস প্রচার মাধ্যমের মুখ বন্ধ করতে তত্পর, মত সুধীর চৌধুরির
সুধীর চৌধুরির দাবি, এই ভিডিও ফুটেজ সামনে আসায় কংগ্রেস নেতারা এখন দোষ ঢাকার মরিয়া চেষ্টায় ব্যস্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজস্থানে নির্বাচনী জনসভায় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগানের ঘটনায় জি নিউজ যে ভিডিওটি সামনে এনেছিল, সেটিকে ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেস দাবি করেছিল, ভিডিওটি প্রযুক্তির কারসাজি। জি নিউজের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন সিধু।
এ বার এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন জি নিউজের প্রধান সম্পাদক (এডিটর-ইন-চিফ) সুধীর চৌধুরি। ডিএনএ-কে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে তিনি দাবি করেন, জি নিউজে সম্প্রচারিত যে ভিডিওটিতে রাজস্থানে নির্বাচনী জনসভায় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে শোনা যায়, ওই ভিডিওটি ১০০ শতাংশ খাঁটি। শুধু তাই নয়, ভিডিওটিতে প্রযুক্তির কারসাজির অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। সুধীর চৌধুরির দাবি, এই ভিডিও ফুটেজ সামনে আসায় কংগ্রেস নেতারা এখন দোষ ঢাকার মরিয়া চেষ্টায় ব্যস্ত।
সিধুর ‘নানি ইয়াদ দিলা দেঙ্গে’ হুমকির প্রসঙ্গে কড়া নিন্দার সুরে সুধীর চৌধুরি বলেন, “কংগ্রেস সর্বদা দাবি করে যে, তাদের দলটি মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করে। কিন্তু কংগ্রেসের মতো ভারতের প্রাচীনতম পার্টির একজন নেতা যখন এই ভাষায় কথা বলেন তখন দলের এই তিনি কতটা দাম্ভিক এবং অহংকারী তা স্পষ্ট হয়ে যায়।” তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনায় নিজেদের ভুল ধামাচাপা দিতে কংগ্রেস নেতারা যে প্রচার মাধ্যমের মুখ বন্ধ করতে তত্পর হয়ে উঠেছেন, তা স্পষ্ট।”
জি নিউজের প্রধান সম্পাদক বলেন, “জি নিউজ সবসময় দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে। এই ঘটনায় আমরা দেশের আইন মেনেই ব্যবস্থা নেব। আমরা নিউজ ব্রডকাস্টার অ্যাসোসিয়েশনের কাছে আমাদের লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। ভারতের সম্পাদক গিল্ডকেও (Editors Guild of India) লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ভারতের নির্বাচন কমিশনেও আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছি। যদি প্রয়োজন হয়, বিষয়টি নিয়ে আদালতেও যাবো। আমরা গণতান্ত্রিক পথেই কংগ্রেস দ্বারা গৃহীত এই অবস্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, প্রচার মাধ্যমের একটা বড় অংশ আমাদের পাশে দাঁড়াবে। আমি এ কথাও বিশ্বাস করি, এ লড়াই শুধু আমাদের লড়াই নয়, এ লড়াই সমগ্র প্রচার মাধ্যমের।”
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সিধুর পাকিস্তানে যাওয়া বা এই গোটা ঘটনায় সিধু যা করেছেন, তা কী একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত প্রয়াস?
সুধীর চৌধুরি বলেন, “কংগ্রেসের মতো বড় দলে সিধুর মতো একজন নেতা একা এটা করতে পারেন না। একটা বিষয় অবশ্যই খেয়াল করেছেন, যখন সিধু পাকিস্তানে গেলেন, তখন তাঁর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরও এতে সায় ছিল না। পাকিস্তান থেকে ফিরে আসার পর সিধু পরিষ্কার ভাবে জানিয়েছিলেন যে তাঁর ‘ক্যাপ্টেন’ অমরিন্দর নয়, রাহুল গান্ধী। সে সময় রাহুল আপত্তি জানালেও এই কর্মকাণ্ডের যে দলের অনুমোদন ছিল, তা স্পষ্ট হয়ে যায়।”