নিজস্ব প্রতিবেদন: মোদী সরকারের একশো দিন! কেমন গেল? রবিবার শাসক দলের খতিয়ান, পালটা বিরোধীদের খতিয়ান তুলে সোশ্যাল মিডিয়া এখন সরগরম। আজ হরিয়ানায় গিয়ে নরেন্দ্র মোদী জানালেন, গত ১০০ দিনে যা কাজ হয়েছে ৬০ বছরে তা হয়নি। সদ্য শেষ হওয়ায় সংসদে একের পর এক বিল পাস হয়, এমনকি মধ্যরাত পর্যন্ত অধিবেশন চলে, তা ভারতের ইতিহাসে নজিরবিহীন বলেই মেনে নিচ্ছেন অনেকে। সেই প্রসঙ্গ তুলে মোদী বলেন, তিন তালাক বিরোধী বিল, জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে সংসদে। দুই কক্ষের অভূতপূর্ব তত্পরতায় এ সব বিল পাস হয়। সমাজে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


অক্টোবরেই হরিয়ানায় ৯০ আসনের বিধানসভার নির্বাচন হওয়ার কথা। আজ থেকেই নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিল শাসক দল বিজেপি। এ দিন সরকারের দ্বিতীয় পর্বের একশো দিনের খতিয়ান তুলে ধরে মোদী বলেন, এই একশো দিনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষাধিকার প্রত্যাহার, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, তিন তালাক বিরোধী আইনের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাত্র একশো দিনের মধ্যেই।


আরও পড়ুন- চন্দ্রযান ২-কে কটাক্ষ করায় পাক বিজ্ঞানমন্ত্রীকে তুলোধনা সে দেশের নেটিজেনের


নরেন্দ্র মোদী বলেন, দেশের অর্থনীতি মজবুত করতে নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়। মোদীর কথায়, সমস্যা সমাধান করতে সচেষ্ট হচ্ছেন মানুষ। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে হরিয়ানার ১০ টি আসনই দখল করে বিজেপি। মোদী জানান, হরিয়ানার মানুষ যে ভাবে সমর্থন জানিয়েছেন তাতে তিনি অভিভূত। তাঁর মতে, ৫৫ শতাংশ ভোট পেলেই বোঝা যায় মানুষ  গভীরভাবে সমর্থন ও বিশ্বাস করছেন সেই দলকে। হরিয়ানার মানুষের থেকে যা চেয়েছেন, তার থেকে অনেক বেশি পেয়েছেন বলে দাবি করেন মোদী।


গত পাঁচ বছরে হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টরে উন্নয়নের তালিকা এদিন তুলে ধরেন মোদী। পাশাপাশি বিরোধী দল কংগ্রেসকেও তুলোধনা করেন তিনি। মোদীর কটাক্ষ, লোকসভা নির্বাচনে হেরে কী করবে এখনও পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারছে না বিরোধীরা। এতটাই হতাশ যে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা।