নিজস্ব প্রতিবেদন: সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরকে কাজে লাগিয়ে তাঁকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের এই অভিযোগের ঘণ্টাখানেক পরই তল্লাশি চালাল সিবিআই। বৃহস্পতিবার বিকালে শিবকুমার ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের অফিস ও বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। কংগ্রেসের অভিযোগ, কর্ণাটক থেকে খালি হাতে ফিরতে হওয়ায় সিবিআইকে ব্যবহার করে তাদের বিব্রত করতে চাইছে বিজেপি। উল্লেখ্য, দক্ষিণের এই রাজ্যে কংগ্রেসের দুর্গ বাঁচিয়ে রাখার কারিগর এই শিবকুমারই। গুজরাট থেকে আহমেদ প্যাটেলকে রাজ্যসভায় জেতানোর ক্ষেত্রেই হোক, কিংবা সদ্য সমাপ্ত কর্ণাটক বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়কদের হোটেল রিসর্টে আগলে রেখা, সর্বক্ষেত্রেই মূল কারিগর শিবকুমার।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রামনগরে নোটবন্দির পর ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের বাতিল নোট বদলে সাহায্য করেছেন কর্পোরেশন ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বি প্রকাশ। এই দুর্নীতিতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় বিদ্যুতমন্ত্রী শিবকুমারের সঙ্গীদের যোগ থাকার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বি প্রকাশ ও তাঁর সঙ্গীরা। এই মামলায় কর্ণাটকের পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। সিবিআই সূত্রে খবর, এই ঘটনায় শিবকুমারের প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিব পদ্মনাভিয়ার যোগ রয়েছে। এদিন তাঁর অফিস ও বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। 


কর্ণাটকে আস্থা ভোটের আগে বিধায়কদের ধরে রাখায় মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন শিবকুমার। কংগ্রেস বিধায়কদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই শিবকুমারের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সিবিআই তত্পরতায় প্রত্যাশিতভাবেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করছে কংগ্রেস। তাদের আরও দাবি, শিবকুমারের বিরুদ্ধে তল্লাশি পরোয়না নেই সিবিআইএ-র কাছে। তবে এসব নিয়ে আদৌ ভাবিত নন ধনকুবের শিবকুমার। তাঁর কথায়, ''চাপে পড়ার কোনও প্রশ্নই নেই। রাজনৈতিক কারণেই তল্লাশি চালানো হয়েছে। এসব করে আমাকে বাধা দেওয়া যাবে না।''