অনেক দল আমাদের দলের নামেই বেঁচে আছে, তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ জয়রাম রমেশের
কংগ্রেস দলের ৩৫৭০ কিলোমিটার লম্বা এবং ১৫০ দিনের দীর্ঘ পদযাত্রা সাত সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয় এবং জম্মু ও কাশ্মীরে শেষ হবে। ভারত জোড়ো যাত্রা, যা ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কেরালায় প্রবেশ করে। ১ অক্টোবর কর্ণাটকে প্রবেশের আগে ১৯ দিনের মধ্যে সাতটি জেলা ছুঁয়ে ৪৫০ কিলোমিটার পথ এই রাজ্যের মধ্যে দিয়ে যাওয়া হবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাংবাদিক সম্মেলন করে সরাসরি তৃণমূল এবং বিজেপিকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তিনি বলেন ‘কংগ্রেস মরে যাওয়া দল নয়। মোদী জিকে বলতে চাই লাদাখ হিল কাউন্সিল আমরা জিতেছি। এই ব্রেকিং টা দিয়ে দিন। কংগ্রেস বড় হাতি, ধীরে চলে। কিন্তু সঠিক ভাবেই চলে। কংগ্রেস কে নির্মূল করা যাবেনা। মজবুত কংগ্রেস ছাড়া বিরোধী দলের ঐক্য সম্ভব নয়’। তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই আমাদের পিছন থেকে ছুরি মেরেছে। অনেক দল তো আমাদের দলের নামেই বেঁচে আছে। কংগ্রেস থেকেই জন্ম হয়েছে। কংগ্রেস এর নাম ব্যবহার করে’। তিনি আরও বলেন কংগ্রেসের পেটেন্ট রাইটস থাকলে ভালো হত। কংগ্রেস পাঞ্চিং ব্যাগ সব দলের কাছে। অপোজিশন উনিটি চাইলে শক্তিশালী কংগ্রেস কে মানতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ ভারত জোড়ো যাত্রাকে দলের জন্য একটি ‘বুস্টার ডোজ’ বলে অভিহিত করেছেন এবং এর সাফল্যের উপর নির্ভর করে, ২০২৩ সালে আরেকটি পদযাত্রা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার গুয়াহাটিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে জয়রাম রমেশ বলেন যে কংগ্রেস আগামী বছর গুজরাটের পোরবন্দর থেকে অরুণাচল প্রদেশের পরশুরাম কুন্ড পর্যন্ত আরেকটি পদযাত্রা করার পরিকল্পনা করছে।
কংগ্রেস নেতা আরও যোগ করেছেন যে ভারত জোড়ো যাত্রার অসম লেগ এই বছরের নভেম্বরে শুরু হবে যেখানে দলের নেতারা সাদিয়া থেকে ধুবরির মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবেন।
রমেশ আরও বলেছেন যে ভারত জোড়ো যাত্রার সঙ্গে গুজরাট, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটকের রাজ্য নির্বাচন বা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ‘এই যাত্রা রাহুল গান্ধীর তপস্যা। ভারতকে বিভক্ত করা হচ্ছে। GST-এর অধীনে খাদ্যদ্রব্যের উপর কর আরোপ করায় অর্থনৈতিক বৈষম্য রয়েছে, মধ্যবিত্ত চাপের মধ্যে রয়েছে এবং বেকারত্ব ক্রমশ বাড়ছে’।
আরও পড়ুন: Cheetah In India: ঐতিহাসিক! মোদীর জন্মদিনেই ৭০ বছর পর আকাশপথে ঘরে এল ৮ চিতা
তিনি আরও বলেন যে দেশটি সামাজিক মেরুকরণ এবং বিভক্ত মতাদর্শের কারণে ভুগছে ‘যা রাজনৈতিক কেন্দ্রীকরণকে উত্সাহিত করে’। রমেশ আরও বলেন যে, ‘সাংবিধানিক সংস্থাগুলির অপব্যবহার করা হয় এবং দুর্বল করা হয় এবং রাজ্যগুলিকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে’।
কংগ্রেস দলের ৩৫৭০ কিলোমিটার লম্বা এবং ১৫০ দিনের দীর্ঘ পদযাত্রা সাত সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয় এবং জম্মু ও কাশ্মীরে শেষ হবে।
ভারত জোড়ো যাত্রা, যা ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কেরালায় প্রবেশ করে। ১ অক্টোবর কর্ণাটকে প্রবেশের আগে ১৯ দিনের মধ্যে সাতটি জেলা ছুঁয়ে ৪৫০ কিলোমিটার পথ এই রাজ্যের মধ্যে দিয়ে যাওয়া হবে।