নিজস্ব প্রতিবেদন: সোনভদ্র হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। তবে, সোনভদ্রে গিয়ে নয়। যেখানে প্রিয়ঙ্কা-সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা সারা রাত আটক থাকলেন, সেই মির্জাপুরে চুনার গেস্ট হাউসে নিয়ে আসা হল নিহতদের পরিবারের সদস্যদের। প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ, আক্রান্তদের পরিবারের মাত্র দুই সদস্য তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। বাকি ১০ জনকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি প্রিয়ঙ্কা তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে, সেই অনুমতিও দেওয়া হয়নি। নিহতদের পরিবারের সব সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে অনড় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গতকাল, বারাণসী বিমানবন্দরে নেমে আহতদের দেখতে যান বিএইইউ ট্রমা সেন্টারে। এরপর সোনভদ্রে রওনা দেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। কিন্তু মির্জাপুরে মাঝপথেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। সেখানেই ধরনায় বসেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ, “নিহত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। মাত্র ৪ জন নিয়ে দেখা করতে যাওয়ার কথা পুলিসকে বলা হয়। প্রশাসন এরপর বাধা দেয়। কেন তাদেরকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না ব্যাখ্যা দিতে হবে প্রশাসনকে। না হলে এখানেই ধরনায় বসা হবে।” পরে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে আটক করে পুলিস ভ্যানে তোলা হয়। প্রিয়ঙ্কা জানান, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জানি না। যেখানে খুশি নিয়ে যাক, আমরা তা প্রস্তুত। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী পুলিসের ভূমিকা তীব্র নিন্দা করেন।



আরও পড়ুন- সোনভদ্র হত্যাকাণ্ডে পরিদর্শনে তৃণমূল প্রতিনিধি, বিমানবন্দরে নামতেই আটকালো যোগীর পুলিস


আজ, সকালে বারণসী বিমানবন্দরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকেও আটক করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুনীল মণ্ডল এভং আবীর বিশ্বাসের ওই তিন সদস্যের দল আজ নিহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু যোগীর রাজ্যে পা দিতেই তাঁদের আটক করা হয় বলে অভিযোগ। বুধবার ৩৬ একর একটি জমিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। গ্রামের সরপঞ্চ ২০০ জন লোক ও ৩৬টি ট্রাক্টর নিয়ে ওই জমিতে চাষ দিতে আসেন। এতে বাধা দেন এলাকার উপজাতিরা। এতই গুলি চালিয়ে দেন ওই সরপঞ্চের লোকজন। মারাত্মক আহত হন ২৪ জন। এখনও প্রর্যন্ত ওই গুলিচালনায় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে পুলিস। গ্রেফতার করা হয়েছে সরপঞ্চকে।