নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভায় চূড়ান্ত হতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীরের ভাগ্য নির্ধারণ। কিন্তু কোথায় উপত্যকার ভূমিপুত্র তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের সুপ্রিমো ফারুক আবদুল্লা? আজ সকাল থেকেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়, ফারুক আবদুল্লা-সহ ওমর, মেহবুবারা কোথায় আছেন জানানো হোক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এই প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, বাড়িতেই আছেন ফারুক আবদ্দুলা। তাঁকে গৃহবন্দি বা আটক করা হয়নি। সুস্থ রয়েছেন। এরপর অমিতের কটাক্ষ, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তো তাঁকে নিয়ে আসতে পারি না। উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর পরই ওমর আবদ্দুলা এবং মেহবুবা মুফতিকে গ্রেফতার করা হয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ওনারা জনপ্রতিনিধি, সন্ত্রাসবাদী নন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, গণতন্ত্রের স্বার্থে তাঁদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়া উচিত।


আরও পড়ুন- অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপে মোদীর পাশে রাহুলের রাখি বোন ও সনিয়ার ঘনিষ্ঠ নেতা


তবে, এ দিন জম্মু-কাশ্মীরের প্রবীণ রাজনীতিক ফারুক আবদ্দুলা জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন। তাঁকে গৃহবন্দি না করলে জম্মু-কাশ্মীরের এই পরিস্থিতে ঘরে বসে থাকতেন না। তাঁর কথায়, বন্দুক নিয়ে ঘুরি না, পাথর-গ্রেনেড ছুড়ি না। শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রস্তাবে বিশ্বাস করি। কিন্তু ওরা আমাদের হত্যা করতে চাইছে।



উল্লেখ্য, আজ লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানতে চান, পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের কী অবস্থান? জানতে চেয়েছিলেন, কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের যে পর্যবেক্ষণ রয়েছে, সেখানে দিল্লির কী ভূমিকা হবে? অধীরের এই প্রশ্নে অস্বস্তিতে পড়তে দেখা গেল খোদ সনিয়া গান্ধীকে। কিছুটা বিরক্তি প্রকাশও করলেন। এরপরই বিজেপি সাংসদরা রে-রে করে ওঠেন।


ভারত বরাবরই কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে বিরোধিতা করে এসেছে। সরকার পক্ষের সাংসদরা এ বিষয়ে সরব হওয়ায়, অধীর চৌধুরী বলেন, “সরকার স্পষ্ট করুক কাশ্মীর ইস্যু অভ্যন্তরীণ না দ্বিপাক্ষিক বিষয়।” সিমলা চুক্তি, লাহোর ডিক্লেরেশনের প্রসঙ্গ তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জবাব চান তিনি। এ প্রসঙ্গে অমিত শাহ মনে করিয়ে দেন, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সাংবিধানিক পথেই এর সমস্যা হবে।