নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে বসছে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক। এই রাজ্য থেকেই ১৯৩০ সালের আজকের দিনে ডাণ্ডি অভিযান শুরু করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। সূত্রের খবর, গান্ধী এবং সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে সামনে রেখেই রাজনৈতিক বার্তা দেবে কংগ্রেস। বিজেপিকে রুখতে কৌশল নির্ধারণে আজ উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা নিতে পারেন কংগ্রেসের সদ্য সাধারণ সচিব হওয়া প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


লোকসভা নির্বাচনের প্রক্কালে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে কংগ্রেসের এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজনীতিকদের একাংশ মনে করছেন, মোদীকে উত্খাত করতে মোদীর ‘ঘরেই’ রাজনৈতিক কৌশল তৈরি করা- দেশবাসীর কাছে এ এক নয়া বার্তা দেওয়ার চেষ্টা কংগ্রেসের। প্রায় ৫৮ বছর পর গুজরাটকেই বাছা হয়েছে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের জন্য। রাজনীতিকদের আরও পর্যবেক্ষণ, ক্ষমতায় আসার পর গান্ধী এবং সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে কার্যত ‘হাইজ্যাক’ করে বিভিন্ন প্রচারে কাজে লাগিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। গান্ধীজির দেড়শোতম জন্মবার্ষিকী মহাসমরোহে পালন করছে মোদী সরকার। এমনকি,  বিশ্বের সুউচ্চ বল্লভভাই প্যাটেলে মূর্তি বানিয়ে মোদী বুঝিয়ে দিয়েছেন প্যাটেল বরাবরই কংগ্রেসের কাছে অবহেলিত ছিল। গুজরাটের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজীব সতভের কথায়,“ ১৯৬১ সালের পর কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি বসছে গুজরাটে। পরাধীন ভারতে আজকের দিনে ‘লবণ সত্যাগ্রহ’ আন্দোলন শুরু করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। গান্ধীজির দেখানো পথ ধরেই ভারত গণতন্ত্র বাঁচাতে নয়া স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু করবে কংগ্রেস।”


আরও পড়ুন- তিন বছর পর নয়া তথ্য, মোদীর নোটাবাতিলে সম্মতি ছিল না আরবিআই-এর!


গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার জেরে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই বৈঠক। জানা যাচ্ছে, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢর ছাড়ও ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতারা। বিজেপি বিরুদ্ধে রণনীতি তৈরি করতে বেকারত্ব, নোটবন্দি, কৃষক আত্মহত্যা, কৃষিঋণ প্রভৃতি সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে।