লোকসভায় রাষ্ট্র সঙ্ঘের প্রসঙ্গ অধীরের, কাশ্মীর নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান জানতে চাইলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩৭০ ধারা বিলোপের পরই পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দেয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চে দিল্লির এই সিদ্ধান্তে বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের হস্তক্ষেপের দাবি জানায় ইমরানের সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদন: সময়ের অপেক্ষা ধারা ৩৭০ এবং জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত করার বিল পাশের। গতকাল জম্মু-কাশ্মীর সংক্রান্ত প্রস্তাব ও বিল রাজ্যসভায় পাশ করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্র। বিরোধীদের অভিযোগ, একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী প্রশ্ন করেন, কাশ্মীর সমস্যা অভ্যন্তরীণ না দ্বিপাক্ষিক বিষয়। তিনি মনে করিয়ে দেন, ১৯৪৮ সাল থেকে রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিরাপত্তা পরিষদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে এই ইস্যু।
উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বিলোপের পরই পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দেয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চে দিল্লির এই সিদ্ধান্তে বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের হস্তক্ষেপের দাবি জানায় ইমরানের সরকার। রাষ্ট্র সঙ্ঘের তরফে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। ভারত এবং পাকিস্তানকে সংযত থাকারও বার্তা দেওয়া হয়। কাশ্মীর বিষয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অবস্থান জানতে চাইলে, মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক জানান, এতদিন যে অবস্থান ছিল, আগামী দিনে তাই থাকবে। তবে, সে স্পষ্ট কিছু বলেননি দুজারিক।
আরও পড়ুন- ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ বললেন লালকৃষ্ণ আডবাণী
মঙ্গলবার লোকসভায় অধীর চৌধুরী রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রসঙ্গ তুললে সরকার পক্ষ চেপে কংগ্রেসের অবস্থান জানতে। কারণ, ভারত বরাবরই কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে বিরোধিতা করে এসেছে। সরকার পক্ষের সাংসদ এ বিষয়ে সরব হওয়ায়, অধীর চৌধুরী বলেন, “সরকার স্পষ্ট করুক কাশ্মীর ইস্যু অভ্যন্তরীণ না দ্বিপাক্ষিক বিষয়।” সিমলা চুক্তি, লাহোর ডিক্লেরেশনের প্রসঙ্গ তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জবাব চান তিনি। এ প্রসঙ্গে অমিত শাহ মনে করিয়ে দেন, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সাংবিধানিক পথেই এর সমস্যা সমাধান করবে সরকার।