নিজস্ব প্রতিবেদন: গণপিটুনি ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখায় অপর্ণা সেন, রামচন্দ্র গুহ-সহ ৪৯ জন বুদ্ধিজীবীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। এই ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে জানালেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৯-এর সাংবিধানিক মূল্য এবং বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আর্জি জানান থারুর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


মঙ্গলবার ওই চিঠি টুইট করে শশী থারুর জানান, “ভারতের নাগরিক হিসাবে আমার অনুরোধ মানুষ যেন নির্ধিদ্বায় দেশের সমস্যার কথা বলতে পারেন। আমরা বিশ্বাস করি, আপনিও বাকস্বাধীনতার অধিকারকে সমর্থন করেন।” ‘মন কি বাত’ যেন কখনও ‘মৌন কি বাত’ না হয়ে দাঁড়ায় বলে জানান তিরুঅন্তপুরমের সাংসদ। সাম্প্রতিকালে সংখ্যালঘু, দলিত-সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের উপর হিংসার ঘটনা বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন ৪৯ জন বুদ্ধিজীবী। অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, রামচন্দ্র গুহ, তামিল পরিচালক আদুর গোপালকৃষ্ণনরা ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।



আরও পড়ুন- মোদী ভারতের বিবিধতা বোঝেন না, বোঝেন শুধু হিন্দুত্ব: অমর্ত্য সেন


মোদী সরকারের জমানার বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে ফের সরব হতে দেখা গিয়েছে নোবেল জয়ী  অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকেও। তিনি এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, “ভারতের ভাষা ও কৃষ্টিগত বহুত্ব সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর।” তাঁর কথায়, এর আগেও ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের তত্পরতা দেখা গিয়েছিল। তবে, তা ছিল বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু এখনও এই প্রবণতা আরও প্রকট হয়েছে। শশী থারুর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের একটি বক্তব্য নরেন্দ্র মোদীকে স্মরণ করিয়ে বলেন, “২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল বিরুদ্ধস্বর গণতন্ত্রের ‘সেফটি ভালভ’। তাকে দাবিয়ে রাখলে বিস্ফোরণ হতে পারে।” বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে এফআইআর নিয়ে সরব হন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একজন নাগরিকের যা খুশি বলার অধিকার আছে, সরকারের সমালোচনা করার অধিকার আছে। তা বলে তাঁকে জেলে পুরে দিতে হবে।