নিজস্ব প্রতিবেদন: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জোটসঙ্গী বাছাই করতে সোমবার নয়াদিল্লিতে বৈঠকে বসেছে কংগ্রেস। দশ রাজ্যের জোটসঙ্গী নির্বাচনই এই বৈঠকের প্রধান উদ্দেশ্য। এই রাজ্যগুলি হল- বিহার, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং ঝাড়খণ্ড। তবে, এ দিনের বৈঠকে অনুপস্থিত দলের সভাপতি রাহুল গান্ধী। আমেঠিতে রাজীব গান্ধী মহিলা বিকাশ পরিযোজনার সমাবেশে যোগ দিয়েছেন তিনি। ফলে, সোমবার জোটসঙ্গী নির্ধারণের বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন গুলামনবি আজাদ, আহমেদ পটেল এবং অশোক গেহলতের মতো প্রবীণ কংগ্রেস নেতারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবারের এই বৈঠক মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। সকালের দিকে পাঁচটি রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি নেতা। এরপর বিকাল ৫টায় অবশিষ্ট পাঁচ রাজ্যের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হবে। প্রত্যেক প্রতিনিধিকে বলার জন্য ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি, বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলের প্রধানদেরও ডাকা হয়েছে। তাঁদের মতামতও শোনা হবে। আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রী রইলেন, অসুস্থতার জেরে পদ খোয়ালেন দুই মন্ত্রী


উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী জানিয়েছেন, আসন্ন ছত্তিশগড় নির্বাচনে তাঁর দল জোট বাঁধছে অজিত যোগীর জনতা কংগ্রেসের সঙ্গে। এছাড়া মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনও একা লড়বেন বলে ঘোষমা করেছেন মায়াবতী। ইতিমধ্যে রাজ্যের ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণাও সেরে ফেলেছেন তিনি। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে চলতি মাসের ৩০ তারিখই আবার বৈঠকে বসতে চলেছে ৮টি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল। এই প্রেক্ষাপটেই সোমবার জোটসঙ্গী নির্বাচনে আলোচনায় বসছে শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস। আরও পড়ুন-  বদ-মতলব থাকলে ভুগবে পাকিস্তানই : রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভারতীয় দূত আকবরুদ্দিন


লোকতান্ত্রিক জনতা দলের শীর্ষ নীতি নির্ধারক তথা নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দলের প্রাক্তন নেতা গোবিন্দ যাদব এদিন বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে বসপা একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এমতাবস্থায় বৈঠকে বসছি যাতে সব বিরোধী ভোট এক জায়গায় পড়ে"।