নিজস্ব প্রতিবেদন:  কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে ফের কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সোমবার জি নিউজের একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে তিনি এই অভিযোগ তোলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


অমিত শাহর বক্তব্য, কাশ্মীর সমস্যার জন্য জওহরলাল নেহরু দায়ী। কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন শুধু নেহরুর ভুলগুলো লুকিয়ে গিয়েছে।


প্রসঙ্গত, সোমবারই কাশ্মীর প্রসঙ্গ খুঁচিয়ে তুলেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সেনর নেতা তথা জম্ম-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবুদুল্লা। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিলে ফল ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে কাশ্মীরের জন্য আলাদা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দাবিও জানিয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন: কাশ্মীরের জন্য আলাদা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী চান ওমর আবদুল্লা


এদিন কার্যত ওমর আবদুল্লাকেই পাল্টা দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। জানিয়েছেন, কাশ্মীরে আলাদা প্রধানমন্ত্রীর দাবি সফল হতে তাঁরা দেবেন না। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবেই থেকে যাবে।


সংবিধানের ৩৫এ অনুচ্ছেদ তুলে নেওয়ার প্রসঙ্গেও এদিন ওমর আবদুল্লা মুখ খুলেছিলেন। ওই অনুচ্ছেদ তুলে নেওয়া হলে কাশ্মীর আর ভারতের অঙ্গ থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।


আরও পড়ুন: হিন্দুদের ভয়ে কেরলে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন রাহুল, তোপ মোদীর


এদিন সেই প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সংবিধানের ৩৫এ অনুচ্ছেদ সংসদে পাস করাতে সমস্যা হবে না বলেই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। কারণ, ২০২০ সালের মধ্যে রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে এনডিএ বলে তাঁর ব্যাখ্যা।


উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম দফায় লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না এনডিএ-র। ফলে তিন তালাক বিরোধী বিল, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল-সহ একাধিক বিল রাজ্যসভায় আটকে যায়।


আরও পড়ুন: লালুর কেন্দ্র সারন থেকে ভোটে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি ছেলে তেজ প্রতাপের


এদিকে এদিন কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন অমিত শাহ। রাষ্ট্রসংঘে চিন ভেটো দেওয়ার অধিকার নেহরুর জন্য পেয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।


পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, এবারও লোকসভা ভোটে বিপুল জন সমর্থন নিয়ে ফিরবে বিজেপি। আর আরও পাঁচ বছর ক্ষমতা থেকে দূরে থাকতে হবে কংগ্রেসকে।