Goa Politics: ফের বিপাকে কংগ্রেস, দল ছাড়ছেন ৮ বিধায়ক
দিগম্বর কামাত এবং মাইকেল লোবো জুলাই মাসেও দল বদলের জল্পনার কেন্দ্রে ছিলেন। দলত্যাগ বিরোধী আইনের অধীনে তাদের অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য স্পিকারের কাছে দাবি জানায় কংগ্রেস। তাঁরা মাইকেল লোবোকে বিরোধীদল নেতার পদ থেকে অপসারণ করেছে। কিন্তু তার জায়গায় নতুন কোনও নাম ঘোষণা করা হয়নি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গোয়ার রাজনীতি ফের নিতে চলেছে নতুন মোড়। জানা যাচ্ছে সেই সংক্রান্ত বড় খবর। সূত্রের খবর, গোয়ায় কংগ্রেস দলে বিভাজন দেখা দিয়েছে। বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন আট কংগ্রেস বিধায়ক। এই সমস্ত বিধায়ক বর্তমানে বিধানসভায় উপস্থিত রয়েছেন। এই খবরের পরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোয়ার রাজনীতি। কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার ফাঁকে তাদের নিজেদের মানুষই এড়িয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছেন দিগম্বর কামাত, মাইকেল লোবো, ডেলিলা লোবো, রাজেশ ফালদেসাই, কেদার নায়েক, সংকল্প আমনকার, অ্যালেক্সো সিকুইরা এবং রুডলফ ফার্নান্দেস।
গোয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সদানন্দ শেঠ তানাওয়াদে এই খবর জানিয়েছেন। ৪০ সদস্যের গোয়া বিধানসভায় কংগ্রেসের এগারো জন এবং বিজেপির কুড়ি জন বিধায়ক রয়েছে। একইভাবে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে দশ জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেন।
এই বছরের জুলাই মাসে, কংগ্রেস দিগম্বর কামাত এবং মাইকেল লোবোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তাদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে। সেই সময়ে, কংগ্রেস তাদের পাঁচ বিধায়ককে চেন্নাইতে স্থানান্তরিত করে দলে ভাঙ্গন এড়াতে।
এর আগে ২০১৯ সালে, ১৫ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে দশ জন বিজেপিতে যোগ দেন। বিরোধী দলনেতা চন্দ্রকান্ত কাভলেকরও এতে জড়িত ছিলেন। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত সমস্ত বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ককে বিজেপিতে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।
কংগ্রেসের সহযোগী, গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির প্রধান বিজয়ী সরদেসাই নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এই ঘটনায়। তিনি বলেছেন যে দলত্যাগী বিধায়করা ‘মন্দের প্রতীক’ যারা ‘সম্পদের লোভ এবং ক্ষমতার জন্য ক্ষুধার্থ... সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অবমাননা করে তাঁরা’।
আরও পড়ুন: India to host G-20 Summit: জি-২০ সভাপতিত্ব পাচ্ছে ভারত, আয়োজন করতে পারবে অন্তত ২০০ বৈঠক
দিগম্বর কামাত এবং মাইকেল লোবো জুলাই মাসেও দল বদলের জল্পনার কেন্দ্রে ছিলেন। দলত্যাগ বিরোধী আইনের অধীনে তাদের অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য স্পিকারের কাছে দাবি জানায় কংগ্রেস। তাঁরা মাইকেল লোবোকে বিরোধীদল নেতার পদ থেকে অপসারণ করেছে। কিন্তু তার জায়গায় নতুন কোনও নাম ঘোষণা করা হয়নি।
প্রবীণ নেতা মুকুল ওয়াসনিককে কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী সঙ্কট সামাল দেওয়ার জন্য নিযুক্ত করেন। একসময় মনে করা হয়েছিল যে তিনি এই দলবদল বন্ধ করেছেন।
বিধানসভা অধিবেশন না থাকায় আজ সকালে স্পিকারের সঙ্গে বিধায়কদের বৈঠক জল্পনা আরও উস্কে দেয়। রাজ্য বিজেপির প্রধান সদানন্দ শেঠ তানাভারে এর পরেই বলেছেন যে তারা দলে যোগ দিচ্ছেন।