দু`বছর বাদে ইফতারে মহাদাওয়াত রাহুলের
দু`বছর ইফতারের আয়োজন করছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দু'বছর ইফতারের আয়োজন করছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। আর এই মহাভোজে হাজির থাকতে চলেছেন বিজেপি বিরোধী দলগুলির শীর্ষ নেতানেত্রীরা। কংগ্রেস সভাপতির হওয়ার পর প্রথমবার ইফতার পার্টি দিচ্ছেন সনিয়াপুত্র। কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের প্রধান নদীম জাভেদ জানিয়েছেন, আগামী ১৩ জুন দিল্লির তাজ প্যালেস হোটেলে ইফতারের মহাভোজের বন্দোবস্ত করেছে কংগ্রেস।
প্রধানমন্ত্রীর পদে বসার পর সরকারিভাবে ইফতার পার্টি দেন না নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপতির দেওয়া ইফতার পার্টিতেও গরহাজির ছিলেন তিনি। জনগণের করের টাকায় এবার ধর্মীয় অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রতিবারই ইফতার পার্টি দিয়েছেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। ২০১৫ সালে ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিল কংগ্রেস। তবে তার পরের দু'বছর ইফতার পার্টি দেননি সনিয়া গান্ধী। ২০১৯ সালের আগে ফের দাওয়াত দিচ্ছেন সনিয়া তনয়।
রাজনৈতিক মহলের মতে, দু'বছর বাদে ইফতার পার্টির নেপথ্যে আসলে রয়েছে কংগ্রেসের রাজনৈতিক তাড়না। ইফতারের পার্টিতে বিরোধী দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। ২০১৯ সালের আগে এই সুযোগে আরও একবার নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক ঝালিয়ে নেওয়ার অবকাশ থাকছে। এর পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের মনও পাওয়া যাবে। নরেন্দ্র মোদী যখন ইফতার দিচ্ছেন না, তখন রাহুলের এই পদক্ষেপ মুসলিমদের ইতিবাচক বার্তা দেবে বলে মনে করছে কংগ্রেসের একাংশ।
সাম্প্রতিককালে 'নরম হিন্দুত্বে'র পথ নিয়েছেন রাহুল গান্ধী। গুজরাটের নির্বাচন প্রচারের সময় থেকেই মন্দিরে মন্দিরে ঘোরা শুরু করেছেন। নিজেকে শিবভক্ত বলেছেন। সোমনাথ মন্দিরে বিতর্কের পর কংগ্রেস নেতারা আবার দাবি করেন, রাহুল পৈতেধারী হিন্দু। ফলে ইফতারের আয়োজন রাহুলের 'নয়া ইমেজে' আঘাত হানতে পরে। আর এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে বিজেপি কসুর করবে না বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
আরও পড়ুন- মোদীর সঙ্গে যুদ্ধের আগে পাটলিপুত্রে দাদা-ভাইয়ের কুরুক্ষেত্র!