বিরোধী ঐক্যের ভরসায় তিনটি বড় রাজ্যের ১৬৮ আসন টার্গেট কংগ্রেসের
বিরোধী ঐক্য মজবুত করতে জোর কংগ্রেসের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধী ঐক্য মজবুত করাই এখন কংগ্রেসের লক্ষ্য। এনিয়ে দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। দলের বক্তব্য, আপাতত নরেন্দ্র মোদীকে হারাতে বিরোধী ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে কংগ্রেস। ২০১৯ সালের নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কংগ্রেস শীর্ষ সূত্রে খবর, তিনটি বড় রাজ্যের ১৬৮টি আসনের সিংহভাগ তাদের ঝুলিতে এলে বিজেপি আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না।
কংগ্রেসের বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশ সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টির সঙ্গে মহাজোটের রাস্তা মসৃণ হয়ে গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি পাঁচের বেশি আসন পাবে না বলে দাবি কংগ্রেসের। কংগ্রেসের শীর্ষস্তরের সূত্রের খবর, জোট নিয়ে কথা প্রায় পাকা। আর এই জোট প্রক্রিয়ায় মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, জোটে সম্মানজনক আসন পেতে চলেছে দল।
২০১৪ সালে ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্যে বিজেপির আশাতীত ফলই তাদের ২৮২ আসনে পৌঁছেছিল। সে বার সপা ও বসপা আলাদা লড়াই করেছিল। সপা কোনওক্রমে পাঁচটি আসন পেলেও খাতা খুলতে পারেনি মায়াবতীর দল। ফলে উত্তরপ্রদেশেই নজর দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে গোরক্ষপুর, ফুলপুর ও কৈরানার মতো আসনে উপনির্বাচনে বিরোধী জোটের সামনে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। তাতেই উজ্জীবিত বিরোধী শিবির। ফলে মোদীকে ঠেকাতে আসন্ন লোকসভা ভোটে বিরোধী ঐক্যেই ভরসা রাখছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
বিহারে আরজেডির সঙ্গে জোটও পাকা। সে রাজ্যে রয়েছে ৪০টি আসন। মহরাষ্ট্রেও এনসিপি কংগ্রেসের জোটসঙ্গী। দেবেন্দ্রফড়ণবীসের রাজ্যে ৪৮টি লোকসভা আসন। এই ৮৮টি আসনেও বিজেপিকে রুখে দেওয়া সম্ভব বলে মনে করছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশে ৭৩, বিহারে ২২ ও মহারাষ্ট্রে ২৩টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। সবমিলিয়ে ১৬৮টি আসনের মধ্যে ১১৮টি আসন জিতেছিল গেরুয়া শিবির। এই ১৬৮টি আসনই পাখির চোখ কংগ্রেসের। এখান থেকে যত বেশি সম্ভব আসন জিততে মরিয়া কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
কংগ্রেসের ধারণা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগঢ়, রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা ও অন্যান্য রাজ্যেও তাদের জোট করে ফায়দা হবে। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে যথাক্রমে ২৯ ও ২৫টি লোকসভার আসন। ২০১৪ সালে এই দুটি রাজ্যের ৫৪টি আসনের মধ্যে পাত্র ২টি পেয়েছিল বিজেপি। তবে এবার প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়ায় ফল ভাল হবে বলে আশাবাদী কংগ্রেস নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের পাল্টা ২৩ জানুয়ারি ব্রিগেড করতে অক্ষম রাজ্য বিজেপি