নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামী সপ্তাহ থেকে দেশে শুরু হচ্ছে টিকাকরণ। ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু দেশে করোনা টিকাকরণ, মঙ্গলবার জানিয়েছেন কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সচিব। ভারতের হাতে এই মুহূর্তে করোনাকে দমন করতে রয়েছে COVAXIN,COVISHIELD।  ডিরেক্টর বিজি সোমানি আশ্বস্ত করেছেন, দুটি ভ্যাকসিন ১০০ শতাংশ নিরাপদ। অর্থাত্, টিকাকরণের পর কোনওরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ভারত প্রথম দেশ যেখানে একসঙ্গে দুটি দেশজ ভ্যাকসিনের জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুটি ভ্যাকসিন কাদের দেওয়া হবে, কীভাবে চলবে টিকাকরণ, তা নিয়ে রূপরেখা প্রস্তুত হয়েছে। সবার আগে টিকা দেওয়া হবে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও কোভিড ওয়ারিয়রদের। Bharat Biotech-এর তৈরি করা Covaxin সম্পূর্ণ দেশীয়। এই ভ্যাকসিনের যাবতীয় প্রক্রিয়া চলেছে হায়দরাবাদের ল্যাবে। এদিকে, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও এস্ট্রাজেনেকা মিলে আবিষ্কার করেছে Covishield. ভারতে অবশ্য Serum Institute এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করেছে। তবে  দুটি ভ্যাকসিন দেওয়া হবে শর্তসাপেক্ষে ও জরুরি ভিত্তিতে।  


করোনা ভ্যাকসিন বন্টন ও প্রয়োগের তদারকির জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেই কমিটি ইতিমধ্যে দেশের দুটি ভ্যাকসিন আপতকালীন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।ভ্যাকসিনেশন-এর প্রক্রিয়া নিয়ে শনিবারই দেশজুড়ে ড্রাই রান বা মক ড্রিল হয়েছে। সারা দেশের ১২৫টি জেলার ২৮৬টি কেন্দ্রে এই ড্রাই রান হয়েছে। 


প্রসঙ্গত, মানুষের শরীরে দুটি করেই দিতে হবে ডোজ। ছাড়াপত্র অনুমোদন দেওয়ার পরই জনা প্রতি কত টিকা নষ্ট হতে পারে তার হিসেব কষেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ড্রাই রান থেকে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা হল নষ্ট হওয়ার হার নির্ধারিত করা হয়েছে ১০ শতাংশের মতো। তার ভিত্তিতে সরকারকে প্রতি ১০০ জনের জন্য কিনতে হবে ১২২ টি।