নিজামুদ্দিনে তবলিঘির মার্কাজে তদন্তে এল দিল্লির পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও ফরেন্সিক টিম
দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবিলিঘি জামাতের সভা থেকে করোনা সংক্রমণের ব্যাপারে তদন্তে নামল দিল্লির পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও ফরেন্সিক টিম।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবিলিঘি জামাতের সভা থেকে করোনা সংক্রমণের ব্যাপারে তদন্তে নামল দিল্লির পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও ফরেন্সিক টিম।
রবিবার ওই দুই দল নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের মার্কাজ বা দফতর ঘুরে দেখে। মার্চের ১৩-১৫ পর্যন্ত হওয়া তবলিঘি জামাতের সভায় যোগ দেন দেশ বিদেশের কয়েক হাজার মানুষ। এদের মধ্যে ছিলেন ৪১টি দেশের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি, প্রদীপ জ্বালিয়ে করোনার বিরুদ্ধে ৯ মিনিট মহাশক্তির প্রকাশ দেশজুড়ে
এখনও প্রর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের এমন ৪০০ করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যাদের সঙ্গে এই তবিলিঘি জামাতের সভার সম্পর্ক ছিল। রবিবার দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জতিক বিমান বন্দরে আটক করা হয় মালয়েশিয়ার ৮ নাগরিককে। এদের চুপিসাড়ে ভারত ছাড়ছিলেন বলে দাবি পুলিসের। এরাও এসেছিলেন ওই জামাতে। ইতিমধ্যেই জামাতের প্রধান মওলানা সাদ-এর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে দিল্লি পুলিস।
আরও পড়ুন-নিজামুদ্দিনের জামাতের পর নিখোঁজ, বিমান ধরতে গিয়ে দিল্লিতে আটক ৮ মালয়েশিয়
দিল্লি পুলিসের দাবি তবলিঘির ওই মার্কাজে ছিলেন ২৩০০ মানুষ। এদের মধ্যে ২৫০ জন বিদেশি। লক ডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় তাঁরা বাইরে যেতে পারেননি বলে দাবি জামাতের। গত ১ এপিল এদের সবাইকে বাইরে বের করে আনা হয়। পুলিসের অনুমান প্রায় ৯০০০ মানুষ ওই জামাতে অংশ নিয়েছিলেন। সভা শেষ তাঁরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফিরে গিয়েছেন। ফলে বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়েছে ওই রোগ। সূত্রের খবর, জামাতে ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার ৩৭৯ জন, বাংলাদেশের ১১০ জন, কাজাকাস্তানের ৭৭ জন, থাইল্যান্ডের ৬৫ জন, মায়ানমারের ৬৩ জন ও শ্রীলঙ্কার ৩৩ জন।