নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্রমশ খারাপ হচ্ছে দিল্লির করোনা পরিস্থিতি। দেশের যে পাঁচটি রাজ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত তাদের মধ্যে রয়েছে কেজরিওয়ালের রাজ্যে। আজ রাজ্যের করোনা সংক্রমণ নিয়ে কেজরিওয়াল, দিল্লির উপ-রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা অমিত শাহের। কিন্তু দিল্লি সরকারের আশঙ্কা, করোনা রোগীর সংখ্যা যেভাবে লাফিয়ে বাড়ছে তাতে জুলাই মাসের শেষ নাগাদ রাজ্যে ৮০,০০০ বেডের প্রয়োজন হবে। একথা মাথায় রেখেই নতুন একটি পরিকল্পনা করেছে দিল্লি সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ফের গুলি চালাল পাকিস্তান! শহিদ এক ভারতীয় জওয়ান,আহত ৩


অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের পরিকল্পনা হল, আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন হোটেল, ব্যাঙ্কয়েট হলে ২০,০০০ বেডের ব্যবস্থা করা হবে। বর্তমানে দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮,০০০ এর বেশি। জুলোইয়ের শেষ দিকে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।


করোনা সংক্রমণের দিক দিয়ে দেশে মহারাষ্ট্রে ও তামিলনাড়ুর পরেই রয়েছে দিল্লি। রোজই ২০০০ বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। একথা ভেবেই মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল ঘোষণা করেছিলেন, দিল্লিবাসী ছাড়া বাইরের কারও করোনা চিকিত্সা দিল্লিতে হবে না। সেই ফরমান নাকচ করে দিয়েছেন দিল্লির উপ-রাজ্যপাল। রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা হল ৮০টি ব্যাঙ্কয়েট হলে ১১,০০০ বেডের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ৪,০০০ বেড পাওয়া যাবে বিভিন্ন হোটেলে। অন্যান্য নার্সিং হোমেও বেড়ে ব্যবস্থা হবে কমপক্ষে ৫০০০। এদের সবার সঙ্গে হাসপাতালের যোগ থাকবে।


আরও পড়ুন- মেদিনীপুরের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ভয়ঙ্কর কাণ্ড, নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে এল পরিযায়ী শ্রমিকের পেট থেকে


কয়েকদিন আগেই দিল্লির সরকারকে চাপে ফেলে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের তরফে জানতে চাওয়া হয়, করোনা পরীক্ষা দৈনিক ৭,০০০ হচ্ছিল।। তা কমে কেন ৫,০০০ করা হল। চেন্নাই ও মুম্বইয়ে যেখানে টেস্টের সংখ্যা বাড়ছে সেখানে দিল্লিতে কমছে কেন! টেস্টের নিয়ম সহজ করতে হবে যাতে তার সংখ্যা বাড়ে।