নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো টেস্ট কিটে মাত্র ৫.৪ শতাংশ ক্ষেত্রে আসছে সঠিক রেজাল্ট। ভুল রেজাল্ট এর ফলে উল্টে বাড়ছে বিভ্রান্তি। এমনই অভিযোগ তুলে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় র‌্যাপিড টেস্ট কিট ব্যবহার বন্ধ করল রাজস্থান সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ বিষয়ে কেন্দ্র এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চকে অবগত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজস্থানের স্বাস্থ্য দপ্তর। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সুরেই র‌্যাপিড টেস্ট কিট-এর নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল রাজস্থান সরকার।


আরও পড়ুন-অলক্ষ্যে দাঁড়িয়ে করোনা! ৩ দিনে দেড়শো কিমি পথ হেঁটেও বাড়ি ফেরা হলো না বালিকার


রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মা জানান, "করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের যখন ওই র‌্যাপিড টেস্ট কিটে টেস্ট করে দেখা হয় তখন তাদের রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।" তিনি জানান মাত্র ৫.৪ শতাংশ ক্ষেত্রে সঠিক রেজাল্ট পাওয়া যাচ্ছে। ফলের র‌্যাপিড টেস্ট কিট-এর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।


রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, এরপর রাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির নির্দেশ মেনেই র‌্যাপিড টেস্ট কিট ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়। লিখিতভাবে কেন্দ্র ও আইসিএমআরকে এই বিষয়ে জানায় রাজস্থান সরকার।


সাধারণ RT-PCR টেস্ট কিট ব্যবহার করে করোনাভাইরাস পরীক্ষার রেজাল্ট পেতে পরীক্ষাগারে প্রায় ৬ ঘন্টা সময় লাগে। অন্যদিকে এই রেপিড টেস্ট কিটে সময় লাগে মাত্র ১৫ মিনিট। কিন্তু রাজস্থান সরকারের বক্তব্য, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ১৫ মিনিটের টেস্টে সঠিক রেজাল্ট পাওয়া যায় না। ফলে শুধু শুধু তৈরি হচ্ছে বিভ্রান্তি।


আরও পড়ুন-'কেন্দ্রীয় দল কোথায়, কী করছে, জানি না, ওরা দেখা করতে চাইলে দেখা করব, সব জানাব'


প্রসঙ্গত এর আগে একইভাবে র‌্যাপিড টেস্ট কিট এর নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে টেস্টিং-এ গুরুত্ব দেওয়া হলেও র‌্যাপিড টেস্ট কিট এর নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অন্যদিকে সবক্ষেত্রে RT-PCR টেস্ট কিট ব্যবহার করার জন্য পর্যাপ্ত পরীক্ষাগার নেই দেশজুড়ে। সেই দিকে নজর রেখে আইসিএমআর প্রতিটি হটস্পট এলাকায় প্রত্যেক নাগরিকের র‌্যাপিড টেস্ট কিট-এর মাধ্যমে পরীক্ষার কথা বলেছে। কিন্তু সেই র‌্যাপিড টেস্ট কিট নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলল দুই রাজ্যের সরকার।