নিজস্ব প্রতিবেদন: জুনেই বাড়বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ত্রস্ত গোটা দেশ। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা যে হারে বেড়েছে তাতে বেসামাল হয়ে পড়েছে হাসপাতালগুলি। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছে পত্রিকা ল্যানসেট। সেখানের এক রিপোর্ট উল্লেখ আছে, জুনের প্রথম সপ্তাহে দেশে দৈনিক মৃত্যু বেড়ে ২ হাজার ৩২০ পর্যন্ত হতে পারে। প্রথম পর্বে দেশে এক দিনে সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছিল ১ হাজার ২৯০ জনের। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে। তার পর ধীরে ধীরে মৃত্যু কমতে থাকে। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, সেই রেকর্ডও ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ১৮৫ জন। জুনে, সেই মৃতের সংখ্যা আরও হাজার বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বলা যেতে পারে ফিরে আসছে সেই বিভীষিকা দৃশ্য। বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী মড়ক লাগতে চলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে চিকিৎসার পরিকাঠামো উন্নত করতে হবে। মৃতের সংখ্যা কমাতে যত দ্রুত সম্ভব এটি করতে হবে।   


৪০ দিনে সংক্রমণ সংখ্যা ১০ থেকে ৮০ হাজার হয়েছে। যা গত বছর সময় নিয়েছিল ৮৩ দিন। 


ফাস্ট ওয়েভের থেকে সেকেন্ড ওয়েভ দুটি ক্ষেত্রে আলাদা। এক, সেকেন্ড ওয়েভে সংক্রমণের হার অনেকটাই বেশি। দুই, উপসর্গহীন এবং মৃদু উপসর্গের রোগীর সংখ্যা বেশি। যার ফলে বর্তমান সময় পর্যন্ত আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করার হার এবং মৃত্যু হার তুলনামূলক ভাবে কম। দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে দৈনিক মৃত্যু পর পর ৩ দিন হাজার ছাড়িয়েছে।


 ল্যানসেটের ওই রিপোর্ট বলেছে, প্রথমেই তরুণ প্রজন্মকে  টিকাকরণের আওতায় আনতে হবে। শুধু ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে নয়, কম বয়সিদেরও টিকা দিতে হবে। করোনা ভাইরাস নিজেকে কতটা মিউটেন্ট করেছে সেটা জানতে  ‘জেনোম সিকুয়েন্সিং’-এর উপর জোর দিতে বলা হয়েছে। সম্পূর্ণ লকডাউন কোনও সমাধান সূত্র নয় বলেও সেখানে উল্লেখ রয়েছে। তবে বারাবার সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হচ্ছে।