সুতপা সেন: আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ঠেকাতে মূল বৈঠক ও ইস্যুগুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে আগামিকাল। তার আগে আজ বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াই শুরু হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ মহাজোট বিজেপির পতন ঘটাবে। এজেন্সির যে জুজু বিজেপি দেখাচ্ছে তা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। এমনটাই খবর সূত্রের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-একুশে জুলাই বৃষ্টিতে ভাসবে তৃণমূলের সমাবেশ! কী বলল হাওয়া অফিস


সূত্রের খবর, বৈঠকে আগাগোড়া বিজেপিকে তুলোধনা করেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেন, বিরোধীরা যে ভাবে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে তাতে বিজেপি পরাস্ত হবেই। বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার জন্য বিজেপি যেভাবে এজেন্সিকে কাজে লাগাচ্ছে তা বন্ধ করা প্রয়োজন। বিজেপি বিরোধী রাজ্য়গুলি বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের উদাহরণ টেনে মমতা বলেন, এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে মানুষের উন্নয়নের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অতীতে এমন ঘটনা ঘটেনি যে ইতিহাসের সিলেবাস বদল করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে রাজ্যে জাতপাতের নামে যেভাবে বিভেদের রাজনীতি করা হচ্ছে তাতে নক্কারজনক। এই বিজেপিকে পরাস্ত করতেই হবে। তা না হলে এই দেশকে ধরে রাখা যাবে না। এদেশের সার্বভৌমত্ব ধরে রাখা যাবে না। দেশের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার জন্য সবাইকে বিভেদ ভুলে একজোট হতে হবে। কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম করে এমনভাবে এগোতে হবে যাতে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে না পারে।


মমতা বলেন, যেসব রাজ্যে বিজেপি বিরোধীরা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এজেন্সিগুলিকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সিবিআই এখন কার্যত বিজেপির এজেন্সিতে পরিণত হয়েছে। সব এসেন্সিগুলির নিজস্বতা নষ্ট হচ্ছে। অতীতে এমন ঘটনা আগে হয়নি। মমতা বোঝানোর চেষ্টা করেন বিজেপি চাইছে যাতে কোনও বিরোধী না থাকে। উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকে সোনিয়া বা রাহুল গান্ধী কিছু বলেননি।



২০২৪ এর লোকসভা ভোটের রোডম্যাপ কী হবে তারই প্রস্তুতি বৈঠক হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে। বিজেপিকে হারাতে যে যেখানে শক্তিশালী সে সেখানে প্রার্থী দেবে, মমতার এই ফর্মুলায় লড়াই নাকি অন্য কোনও উপায়ে তা ঠিক হবে আগামিকালের বৈঠকে। কালই এনিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া হবে। একটি খসড়া পরিকল্পনার উপরে আলোচনা হবে। প্রতিটি রাজ্যে বিরোধীদের মধ্য়ে পৃথক লড়াই রয়েছে। সেক্ষেত্রে রণকৌশল কী হবে তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হতে পারে কাল। বিরোধী জোটের নাম আর ইউপিএ থাকছে না। এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে নতুন নামকরণ কী হবে তা কাল আলোচনা হতে পারে।


আগামিকালের আলোচনায় আরও একটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সেটি হল, বিরোধীদের অভিমত বিজেপি দেশের গণতন্ত্রকে তছনছ করে দিয়েছে। তাকে যে কোনও মূল্যেই ফিরিয়ে আনতে হবে। যে ভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে বিরোধীদের উপরে আঘাত হানা হচ্ছে, যেভাবে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, সিলেবাস বদলে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা হয় আজকের বৈঠকে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কীভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে। মূলত চারটি বিষয়ের আাগামিকাল আলোচনা হবে। তার খসড়া তুলে দেওয়া হয়েছে বিরোধী নেতাদের হাতে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)