নিজস্ব প্রতিবেদন:  স্ত্রীকে নিজের কাছে রাখার জন্য স্বামীকে বাধ্য করতে পারে না কোনও আদালত। কারণ এটা একটা মানবিক সম্পর্কের ব্যাপার। একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: আর্চবিশপের চিঠিতে বিজেপিকে কটাক্ষ, নোটিস পাঠাল গুজরাট নির্বাচন কমিশন


গত ১১ অক্টোবর পেশায় পাইলট এক ব্যক্তিকে তাঁর স্ত্রী ও ছেলের দেখাশোনার জন্য ১০ লক্ষ টাকা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কিন্তু তিনি সেই শর্তে রাজি ছিলেন না। সেইন কারণে তাঁর আগাম জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পণের দাবিতে বধূ নির্যাতনের অভিযোগে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেন তাঁর স্ত্রী।  


এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই তিনি। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি আদর্শ গোয়েল এবং ইউইউ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ মাদ্রাজ হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে। অর্থাত্ স্ত্রী ও ছেলের দেখাশোনার খরচবাবদ ওই ব্যক্তিকে ১০ লক্ষ টাকা জমা করতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি,  আদালতের তরফে এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, যাতে কোনও শর্ত ছাড়াই ওই ব্যক্তির স্ত্রী টাকাটি নিতে পারেন।


আরও পড়ুন: কোনও লস্কর কম্যান্ডার বেশিদিন আস্ত থাকবে না, হুঁশিয়ারি জেটলির


টাকার অঙ্কটা কমানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান পাইলটের আইনজীবী। যদিও সেই আবেদনও খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণ,‘এটি কোনও পারিবারিক আদালত নয়, এই বিষয় নিয়ে রফা করার জায়গা আদালত নয়।  আমরা একজন স্বামীকে বাধ্য করতে পারি না স্ত্রীকে সঙ্গে রাখার জন্য। এটা মানবিক সম্পর্কের ব্যাপার।’পাশাপাশি স্ত্রী ও ছেলের জন্য খরপোশ বাবদ ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন।