ওয়েব ডেস্ক: ৭২ ঘণ্টা আগে যে বাছুরের জন্ম নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল ভারতের সোশ্যাল দুনিয়া, সেই বাছুরের জন্ম নিয়ে সত্য উদ্ঘাটন করল চিকিৎসক মহল। কোনও ধর্মীয় বিষয়ই নেই, এটা শারীরিক অপুষ্টিগত কারণে ঘটেছে, 'মানবসদৃশ' বাছুরের জন্ম নিয়ে সাফ জানালেন চিকিৎসক অজয় দেশমুখ। "এই ধরণের জন্মকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয় অ্যানাটমিক্যাল অ্যানোমালি। ভ্রূণের সঠিক বিকাশ না হওয়ার কারণেই ভূমিষ্ঠ ভ্রূণের আকৃতির এমন বিকৃতি ঘটে। এর সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই", মন্তব্য ডঃ অজয় দেশমুখের।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাথা মানুষের মত। বাকি শরীর গোরুর মত। চোখ, কান, নাক দেখে বোঝার উপায় নেই যে গোরুর গর্ভ থেকে এমন একটা বাছুরের জন্ম হতে পারে! উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের মানুষ এমন বাছুরের জন্ম এর আগে কখনই দেখেনি। গ্রামের মানুষের কাছে এমন অদ্ভুত বাছুরের জন্মের কথা ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় হৈ চৈ। 'ভগবান বিষ্ণু'র জন্ম হয়েছে, গোটা মুজাফফরনগরে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে এই খবর। তারপর যা হবার, সেটাই হল। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন একঝলক ওই বাছুরকে দেখার জন্য। খবর দাবানলের মত আরও গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বাড়তে থাকে ভিড়। ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই যে গোয়াল ঘরে জন্ম হয় ওই বাছুরের তা ক্রমশ পরিণত হয় 'মন্দির'-এ। লোকজন আসছে, প্রণাম করছে আর প্রণামী রেখে যাচ্ছে। এভাবেই চলছিল ঘণ্টাখানেক। তারপরই মৃত্যু হয় বাছুরটির। কিন্তু 'ভগবান বিষ্ণু'কে দেখতে 'ভক্ত'গণের ভিড় আরও বাড়তেই থাকে। 


বছর পঞ্চাশের মহেশ কাঠুরিয়া নামের এক গ্রামবাসী বলেন, "ভগবান নিজে গোরুর গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছেন। আমরা এখানে এসেছি তাঁর আশীর্বাদ লাভ করতে। ভগবান বিষ্ণুর অবতার রূপেই জন্ম হয়েছে এই বাছুরের। ভগবৎ পুরাণে ভগবান বিষ্ণুর এমন অবতারের কথা বলা আছে।" গ্রামের মানুষের বিশ্বাস এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যে ওই বাছুরের জন্য একটি মন্দির বানানোর পরিকল্পনাও করছে তারা।