Cow Smuggling: স্কুল শিক্ষিকার এই বিপুল সম্পত্তি কীভাবে, ইডির অধিকাংশ প্রশ্নেই নিরুত্তর অনুব্রতকন্যা
সায়গলকে জেরা করে গোরুপাচার কাণ্ডের টাকা কীভাবে কোথায় পাচার হতো তার একটা রূপরেখা তদন্তারীদের হাতে এসেছে। সুকন্যার পরে আর যাদের ডাকা হবে তাদের কাছে এখনওপর্যন্ত পাওয়া তথ্য যাচাই করে নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে
জ্য়োতির্ময় কর্মকার: গোরুপাচার মামলায় অনুব্রতকন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে বুধবার টানা জেরা করল ইডি। এদিন সকাল দশটা থেকে টানা জেরা করা হয় সুকন্য়া মণ্ডলকে। সকাল দশটায় ঢুকে সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ তিনি ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন। গোরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল বহু টাকা তাঁর আত্মীয় অ্য়াকাউন্টে সরিয়েছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেক্ষেত্রে সন্দেহের তলিকায় ছিল সুকন্যা মণ্ডল। কারণ তাঁর অ্য়াকাউন্টে যে পরিমাণ টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে তার সঙ্গে তার স্কুলের চাকরির আয়ের মিল নেই। ইডি সূত্রে খবর, আজ তাঁর আয় সম্পর্কে অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তরই দিতে পারেননি সুকন্য়া মণ্ডল। এর পাশাপাশি অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মুখোমুখি বসিয়ে সুকন্যাকে জেরা করা হয়।
আরও পড়ুন-বদলির আবেদন মঞ্জুর, তবুও পড়ুয়াদের ভালোবাসায় 'বন্দি' প্রধানশিক্ষক!
একজন স্কুল শিক্ষক হলেও বিপুল সম্পত্তির মালিক সুকন্যা মণ্ডল। তাঁর নামে বীরভূমের একাধিক জায়গায় জমি রয়েছে। বোলপুরে ২৬টি জমি রয়েছে। গয়েশপুর মৌজায় রয়েছে রয়েছে ১টি জমি। মরকমপুর মৌজায় ১টি জমি, বল্লভপুরে ১টি জমি, কলকাতার রাজারহাটের তেঘড়িয়া মৌজায় ১টি ফ্ল্যাট, চিনার পার্কে ১টি ফ্ল্যাট, কালিকাপুর মৌজায় ২০টি জমি, বোলপুরের খোসকদমপুর মৌজায় ১টি জমি রয়েছে। এখন ওইসব সম্পত্তির এল কোথা থেকে। এটাই এখন ইডির প্রধান প্রশ্ন। এক্ষেত্রে একটা সম্ভাবনা হল অনুব্রত মণ্ডল তাঁর টাকা মেয়ের নামে রেখেছেন। আদৌ তা ঘটেছে কিনা তা জেরা করে বোঝায় চেষ্টা করে ইডি। ওইসব প্রশ্নের উত্তরে সুকন্যা নাকি জানিয়েছেন, ওইসব সম্পত্তির ব্যাপারে কোনও কিছুই তার জানা নেই। এর জন্য তাঁকে ফের একবার ডাকা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ১০ দিন ইডির হেফাজতে রয়েছে অনুব্রত দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। প্রথম ৬ দিনের পর আরও ৮ দিন তাকে হেফাজতে চেয়েছিল ইডি। ইডির আইনজীবী রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে জানিয়েছিলেন, সায়গলকে জেরা করে ৮ জন সন্দেহভাজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। তাদের মধ্যে যেমন রয়েছেন সুকন্যা, তেমনি রয়েছেন অনুব্রতর একাধিক আত্মীয় ও সায়গল হোসেনের আত্মীয়রা। এদের সবাইকে জেরা করে গোরুপাচার কাণ্ডে মানি ট্রেইল খোঁজার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্ত সংস্থা। সায়গলকে জেরা করে গোরুপাচার কাণ্ডের টাকা কীভাবে কোথায় পাচার হতো তার একটা রূপরেখা তদন্তারীদের হাতে এসেছে। সুকন্যার পরে আর যাদের ডাকা হবে তাদের কাছে এখনওপর্যন্ত পাওয়া তথ্য যাচাই করে নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।