Cow Smuggling: গ্রেফতারির পর জামাকাপড়-ওষুধ নিয়ে ছুটে এলেন বন্ধু, ইডি দফতরে কেমন কাটল সুকন্যার প্রথম রাত?

Cow Smuggling: সুকন্যা মণ্ডলের বয়ানে অসংগতি পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁর সম্পত্তির হিসেবই তিনি ঠিকঠাক দিতে পারছিলেন না। একসময় মনে করা হচ্ছিল সুকন্যা মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছিলেন অনুব্রত। কিন্তু বারবার জিজ্ঞসাবাদে উঠে আসে যে তাঁর সম্পত্তি সম্পর্কে সবটাই জানতেন সুকন্যা
জ্য়োতির্ময় কর্মকার: গতকাল টানা জেরার পর অনুব্রতকন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে ইডি। একাধিকবার ইডির সমন তিনি এড়িয়ে গিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত বুধবার তাকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতারের পর সুকন্যাকে জামা কাপড়, ওষুধপত্র দিয়ে গেলেন তাঁর বন্ধু সুতপা পাল। সঙ্গে এনেছিলেন শ্যাম্পু, সাবান, ডেটল-সহ অন্যান্য জিনিসপত্রও। আজ তাঁকে আদালতে তুলে হেফাজতে চাইবে ইডি।
আরও পড়ুন-বোলপুর পুরসভাতেই অনুব্রত ও সুকন্যার নামে রয়েছে কয়েকশো কাঠা জমি, দাম শুনলে অবাক হবেন
ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে কেঁদে ফেলেন সুতপা পাল। বললেন, বাবা জেলে। মা নেই। মেয়েটাকেও ধরে নিল। ও এখন একা হয়ে গেল। আমকেও ধরে নিক। ওর সঙ্গে থাকব।
গতকাল রাতেই মেডিক্যাল টেস্ট করা হয় সুকন্যার। তারপর তাকে রাতে রাখা হয় ইডি অফিসেই। সূত্রের খবর, গতরাতে সুকন্যাকে রুটি, স্যুপ, সবজি খেতে দেওয়া হয়। আজ আদালতে তুলে সুকন্যাকে সম্ভবত এক সপ্তাহের জন্য হেফাজতে চাইতে পারে ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, একাধিকবার সুকন্যা মণ্ডলের বয়ানে অসংগতি পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁর সম্পত্তির হিসেবই তিনি ঠিকঠাক দিতে পারছিলেন না। একসময় মনে করা হচ্ছিল সুকন্যা মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছিলেন অনুব্রত। কিন্তু বারবার জিজ্ঞসাবাদে উঠে আসে যে তাঁর সম্পত্তি সম্পর্কে সবটাই জানতেন সুকন্যা।
অনুব্রতর গ্রেফতারের আগেই ইডি গ্রেফতার করেছিল তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও তাঁর চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মণীষ কোঠারি। তাদের জেরা করে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসে ইডির। এরপর বহু আইনি বাধা পেরিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতা করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। অনুব্রতর ঠাঁই হয়েছে তিহাড় জেলে। সেখানেই আছেন সারগল হোসেন ও মণীষ কোঠারি। সূত্রের খবর সুকন্যাকে যখনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তখনই তিনি জানিয়েছেন সবকিছু জানেন বাবা ও মণীষ কাকু। কিন্তু সম্প্রতি বারবার ইডির সমন এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সুকন্যা। আজ তাঁকে টানা জেরার পর তদন্ত অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল সুকন্যার গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এই যে মেয়েটিকে গ্রেফতার করা হল তার মা মারা গিয়েছেন কিছুদিন আগেই। তার বাবা গ্রেফতার হয়েছেন। সেখানে তদন্তের প্রয়োজন তাঁকে গ্রেফতার করা হল। তাঁকে জেলের বাইরে রেখে কি তদন্ত করা যেত না?