নিজস্ব প্রতিবেদন: গরুও নিরাপদ হয় ভারতে। গর্ভবতী ছাগলের পর এবার গরুকে ধর্ষণের অভিযোগ। আর গরুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ৫০ বছরের এক ব্যক্তিকে। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের বেতুলের ঘটনা। মাই নেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ী মহেশ অগ্রবাল। তাঁর অভিযোগ, একটি গরুর সঙ্গে অপ্রাকৃতিক কাজকর্ম করছিলেন এক মাঝবয়সী ব্যক্তি। বিষয়টি কয়েকজন যুবককে বলেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার মহেশ অগ্রবাল বিষয়টি সকলকে জানানোর পর গোটা শহরজুড়ে খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দোষীকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। রাস্তায় নামেন বেশ কয়েকজন। পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিস আধিকারিকদের আশ্বাসে ওঠে অবরোধ। এরপর ২৯৫,৩৭৭ ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিস। পরে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।        


এর আগে ২০১৩ সালে বলাঘাট জেলার লিঙ্গা গ্রামে গরুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠছিল ২৫ বছরের এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই যুবককে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেয় জনতা। ৩৭৭ ধারায় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস। ২০১৬ সালে মধ্যপ্রদেশে গোয়াল থেকে পালিয়ে আসা একটি গরুর সঙ্গে অপ্রাকৃতিক কাজকর্মের অভিযোগে ধরা পড়েছিল ৫০ বছরের এক ব্যক্তি।         


দিন কয়েক আগে গর্ভবতী ছাগলকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে হরিয়ানার মেওয়াটে। বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই গর্ভবতী ছাগলকে উত্যক্ত করত আট যুবক। ছাগলের মালিক বহুবার তাদের বারণ করা সত্ত্বেও তারা কথা শোনেনি। দিন দিন সেই ছাগলকে বিরক্ত করার মাত্রা ছাড়াতে থাকে। ছাগলের মালিক আসলু এমন কিছু একটা কাণ্ড ঘটার আঁচ পেয়েছিলেন আগে থেকেই। কিন্তু শেষমেশ নিজের পোষ্যকে এই আট পাষণ্ডের হাত থেকে রক্ষা করতে পারলেন না। গ্রামবাসীদের একজনের বয়ান অনুযায়ী, আসলুর বাড়ির দালান থেকে ওই ছাগলকে চুরি করে নিয়ে যায় আটজন। রাতের অন্ধকারে ছাগলটিকে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে গিয়ে আটজন মিলে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে। তার পর তড়িঘড়ি পাঁচজন ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। কিন্তু বাকি তিনজন পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখানোর জন্য বাড়ি ফিরে আসে। ইতিমধ্যে আসলু তাঁর পোষ্যকে খুঁজতে বের হয়। গর্ভবতী ছাগলটি যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে চিত্কার করতে থাকে। আসলু ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে ছাগলটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে।


আরও পড়ুন- দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাত্ ধোনির, নয়া সমীকরণ?