বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তথ্য সংক্রান্ত সরকারি প্যানেল থেকে ইস্তফা JNU-র অধ্যাপকের
সম্প্রতিকালে সরকারের পরিসংখ্যান সংক্রান্ত কাজের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিপি চন্দ্রশেখর। রাজনৈতিক চাপে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বাধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর
নিজস্ব প্রতিবেদন: জেএনইউ-র (JNU) আঁচ পড়ল এ বার মোদী সরকারের অন্দরেও। সরকারের অর্থনৈতিক তথ্য পর্যালোচনা প্যানেল থেকে ইস্তফা দিলেন জেএনইউ-র অধ্যাপক সিপি চন্দ্রশেখর (CP Chandrasekhar)। তাঁর যুক্তি, জেএনইউ-র পরিস্থিতি নিয়ে মর্মাহত। যার কারণে নির্ধারিত বৈঠকে যোগ দেওয়া তাঁর পক্ষে অসম্ভব। পাশাপাশি তাঁর আরও মন্তব্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি পরিসংখ্যান সিস্টেমে বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনা কার্যত কঠিন।
সম্প্রতিকালে সরকারের পরিসংখ্যান সংক্রান্ত কাজের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সিপি চন্দ্রশেখর। রাজনৈতিক চাপে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বাধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। সুজ্জিত সিস্টেমকে ভেঙে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। এই পরিস্থিতিতে কাজ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় বলে চিঠিতে জানিয়ে দেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, বেকারত্ব সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশে টালবাহানা করছে কেন্দ্র। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়, ২০০৮ সালে জুন মাসে বেকারত্ব ৬.১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। যা শেষ ৪৫ বছরের নজিরবিহীন। লোকসভা নির্বাচনে আগে কেন্দ্র এই তথ্য প্রকাশ করতে চাইছে না বলে অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন- ‘আমাদের সময় টুকরো টুকরো গ্যাং ছিল না’: জেএনইউ-র প্রাক্তনী তথা বিদেশমন্ত্রী
রবিবার গত রবিবার জেএনইউ ক্যাম্পাসে মুখোশধারী কিছু দুষ্কৃতী প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। বিক্ষোভকারী কিছু পড়ুয়াকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মাথা ফাটে জেএনইউএসইউ প্রেসিডেন্ট ঐশী ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষিকা সুচরিতা সেন-সহ একাধিক পড়ুয়া-শিক্ষাকর্মীর।