নিজস্ব প্রতিবেদন: বঙ্গে শাসক দলকে সিপিএম যে ভাষাই সমালোচনা করুক না কেন, তারই শরিক সিপিআই সে পথে হাঁটতে নারাজ। স্পষ্ট না করলেও ইঙ্গিত তেমনই মিলল সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার মন্তব্যে। রবিবার কলকাতায় এসে সিপিআইয়ের রাজ্যসভার সাংসদ ডি রাজা বলেন, রাজ্য ও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভিন্ন। আমরা মোদীভাই-দিদিভাই ব্যবহার করি না। তাঁর আরও মন্তব্য জাতীয় স্তরে বিজেপিকে রুখতে গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করা প্রয়োজন। কিন্তু কীভাবে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ডি রাজা ব্যাখ্যা করেন, বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন রকম পরিস্থিতি। বিহার, তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শাসক দল।  বিজেপি এবং আরএসএস-এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়তে হবে। এর জন্য ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে এগিয়ে আসার বার্তা দেন। কলকাতা এসে পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যে যতই তৃণমূলের সঙ্গে বিরোধিতা থাক না কেন, জাতীয় স্তরে কোনও ছুঁতমার্গ নেই। যা নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে আলিমুদ্দিন। বঙ্গে বিজেপির বাড়বাড়ন্তে মমতাকেই বারবর কাঠগড়ায় করেছেন সিপিএম নেতারা। মোদীভাই-দিদিভাই আঁতাঁত রয়েছে বলে কটাক্ষও শুনতে দেখা গিয়েছে সেলিম-সুজনকে। কিন্তু ডি রাজা বলছেন, তাঁরা এমন শব্দ ব্যবহার করেন না!


দিল্লিতে বিরোধীদের সর্বদলীয় বৈঠকে গরহাজির ছিলেন  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে যখন বাম-কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল সহমতে পৌঁছছেন, তখন মমতাই উল্টো পথে হেঁটেছেন। তাঁর দাবি, প্রথম আন্দোলন তিনি শুরু করেছিলেন, প্রয়োজনে একাই লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। তবে, মমতার এ-ও বার্তা ছিল অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি নিজের মতো করে আন্দোলন চালিয়ে যাক।


আরও পড়ুন- স্ত্রী-র কাটা মুণ্ড হাতে হেঁটে বেড়াচ্ছিল যুবক, তারপর...


কিন্তু জাতীয় স্তরে সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে বরাবরই দূরত্ব বজায় রেখে চলেছে তৃণমূল। সংসদ চত্বরে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দল ধরনা করলে, তৃণমূলের সাংসদরা পৃথক জায়গা প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন। তবে, বিজেপির বিরুদ্ধে যুঝতে এই মুহূর্তে মমতাই অন্যতম ‘হাতিয়ার’ মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কলকাতায় এসে ডি রাজার ইঙ্গিতও কি সে দিকেই?