শপথের আগেই ত্রিপুরায় তাণ্ডব ভাবী শাসকদলের, অভিযোগ সিপিএমের
দক্ষিণ ত্রিপুরায় লেনিনের মূর্তি ভাঙার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকেও নির্বাচন পরবর্তি হিংসার খবর আসছে। সিপিএমের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবে সিপিএম সমর্থকদের টার্গেট করছে বিজেপি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দক্ষিণ ত্রিপুরায় লেনিনের মূর্তি ভাঙার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকেও নির্বাচন পরবর্তী হিংসার খবর আসছে। সিপিএমের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবে সিপিএম সমর্থকদের টার্গেট করছে বিজেপি।
টানা আড়াই দশক ক্ষমতায় থাকার পর সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে সিপিএম। আইপিএফটির সাহায্য নিয়ে রাজ্যে সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি। এখনও নতুন সরকার শপথ নেয়নি। তার আগেই শনিবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে সিপিএমের পার্টি অফিস ও সমর্থকদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠছে।
সোমবার রাজ্যের বেলোনিয়া সাবডিভিশনে লেনিনের একটি পূর্ণাবয়ব মূর্তি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। মূর্তি ভাঙার সময়ে ভারত ‘মাতা কি জয়’ স্লোগানও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনাকে একপ্রকার সমর্থন করেছেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘কোনও নির্বাচিত সরকারের কীর্তি অন্য সরকার ধ্বংস করে দিতেই পারে।’ একইসঙ্গে লেনিনের মূর্তি ভাঙার দৃশ্য দেখে বিজেপি নেতা রাম মাধব মন্তব্য করেন, ‘এটা রাশিয়ার কোনও দৃশ্য নয়। ত্রিপুরার ছবি। চলো পাল্টাই।’ যদিও ওই ট্যুইট তিনি পরে ডিলিট করে দেন।
আরও পড়ুন- ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ, বাড়িতে ঢুকে প্রৌঢ়কে এলোপাথাড়ি কোপ মদ্যপদের
এছাড়াও গত তিন দিনে রাজ্যের বিশালগড়, অমরেন্দ্রনগর, মোহনপুর, সাবরুম, মেলাগড়, খোয়াই, জিরানিয়া, খোমলুং, রামনগর এলাকা থেকে সংঘর্ষের খবর এসেছে। সিপিএম সরাসরি ওইসব সংঘর্ষের জন্য বিজেপি ও আইপিএফটিকে দায়ী করেছে। দলের পক্ষে ট্যুইটারে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যে ৪৫ শতাংশ ভোট পেছে সিপিএম। এর পরেও সিপিএম সমর্থক, সিপিএমের পার্টি অফিসের উপরে হামলা করছে বিজেপি ও আইপিএফটি জোট সমর্থকরা।
অন্যদিকে, রাজ্যে বিজেপির জয়ের প্রধান কারিগর সুনীল দেওধর সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘হিংসার কোনও প্রশ্নই নেই। কারও উপরে কোনও হামলা করাকে সমর্থন করি না। আমরা আমাদের সমর্থকদের শান্ত থাকার কথা বলেছি।’ এদিকে সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, "ত্রিপুরায় আগামী দিনে কী ধরনের হিংসা হতে চলেছে, এই ঘটনা তার সঙ্কেত। যে রাজ্যের রাজ্যপাল সমর্থন করে এই ঘটনা, তা দুর্ভাগ্যজনক।"
সংবাদ মাধ্যমের খবর, গোটা বিষয়টির উপরে নজর রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ত্রিপুরার রাজ্যপালের সঙ্গে তিনি কথাও বলেছেন।