নিজস্ব প্রতিবেদন: ঠেলার নাম বাবাজি। আর সেই গুঁতোতেই এবার খোদ রামচন্দ্রের শরণে সিপিএম। কেরলে গেরুয়া হাওয়ায় জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে এবার রামায়নের নির্ভর নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিল কেরলের বাম সরকার। দলীয় স্তরে একই রকম অনুষ্ঠান আয়োজন করবে সিপিএমও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মলয়ালম ক্যালেন্ডারের শেষ মাস 'করকিডক্কম'-কে বলা হয় রামায়নের মাস। গোটা মাস ধরে রামায়ন কেন্দ্রিক নানা অনুষ্ঠান উজ্জাপন করেন সেরাজ্যের মানুষ। চলতি বছর ১৭ জুলাই থেকে শুরু হবে এই মাস। চলবে ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত। আর 'করকিডক্কম'-এর প্রথম দিন থেকেই রামায়ন মাস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল সিপিএম। ২৫ জুলাই রামায়নের ওপর আয়োজন করা হয়েছে একটি সম্মেলনের। এমনকী বুথ স্তর পর্যন্ত রামায়নের 'মাহাত্ম্য' প্রচারে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ ক্লাসের। গোটা কর্মসূচির প্রধান নিয়োগ করা হয়েছে SFI-এর প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেরল রাজ্য কমিটির সদস্য শিবদাসনকে। 


কমিউনিস্ট মতাদর্শে ধর্মীয় আস্থার কোনও স্থান নেই। ফলে সাধারণত ধর্মীয় আচার থেকে দূরেই থাকেন দলের নেতা-কর্মীরা। ওদিকে কেরলে জুলাই ও অগাস্টে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রবল বর্ষণ হয়ে থাকে। ফলে অনেক সময়ই বাইরে বেরিয়ে রোজের কাজকর্ম করা অসম্ভব হয়ে পড়ে স্থানীয়দের পক্ষে। তাই এই সময়ে বাড়িতে বসে আধ্যাত্মের চর্চা করেন তাঁরা। 


মুসলিম 'বুদ্ধিজীবী'দের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর বৈঠক, আক্রমণ বিজেপির


কর্মসূচি অনুসারে, এই সময় সংস্কৃত পণ্ডিতদের সাহায্যে দলের কেডারদের রামায়নের পাঠ দেবে সিপিএম। ২৫ জুলাই এই নিয়ে রাজ্যস্তরীয় একটি সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্যে বিজেপির উত্থান রুখতে রামায়নকে হাতিয়ার করে হিন্দুদের মন জিততে চাইছে সিপিএম। 


তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগে জন্মাষ্টমীতে গোটা কেরলজুড়ে মিছিল করেছিল সিপিএম। বলে রাখি, গত ৫ দশক ধরে কেরলে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর মিছিল করে আরএসএস। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব করে আসলে নাস্তিক 'দুর্নাম' ঘোচাতে চাইছে সিপিএম।