ওয়েব ডেস্ক: নোটযুদ্ধের রণকৌশল স্থির করতে কাল কংগ্রেসের ডাকে দিল্লিতে বৈঠক। কিন্তু তার আগেই বেসুরো বামেরা। কালকের বৈঠকে থাকছেন না তাঁরা। স্পষ্ট জানিয়ে দিল সিপিএম। ইয়েচুরির যুক্তি, কংগ্রেসের যৌথ আন্দোলনের পদ্ধতি ঠিক নয়। যদিও, রাজনৈতিক মহলের জল্পনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য সোনিয়ার আমন্ত্রণে সাড়া দিল না বামেরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইস্যু নোটবন্দি। সংসদে ঝড়। মোদী বিরোধিতায় একসুর ১৬ টি বিরোধী দল। তৃণমূলের পাশে বামেরা। সংসদের বাইরেও সুদীপ-ডেরেকের পাশে সেলিম। মিলে সুর মেরা তুমাহারা।


নতুন বছরেও বিরোধী আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াতে মরিয়া কংগ্রেস। মোদী বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে মঙ্গলবার ১৬দলের বৈঠক ডেকেছেন সোনিয়া। কিন্তু, এবার বেসুরো বামেরা।


CPM পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এই মুহুর্তে কলকাতা সীতারাম ইয়েচুরি। রাজ্য কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পরই CPM সাধারণ সম্পাদক জানিয়ে দিলেন ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে আছেন কিন্তু কংগ্রেসের সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা নেই।


সংসদে তো কংগ্রেসের সঙ্গে ঝড় তুলেছেন তবে বৈঠকে না কেন? ইয়েচুরি বলছেন, কংগ্রেসের যৌথ আন্দোলনের পদ্ধতিতে গলতি রয়েছে।


এতো ইয়েচুরির যুক্তি, রাজনৈতিক মহল বলছে সিপিএমের আপত্তি আসল কারণ অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোনিয়ার আমন্ত্রণে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে মমতা। মমতার বৈঠকে থাকাটাই ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে বামেদের।


নোটবন্দি আন্দোলনে তৃণমূলের সঙ্গে একমঞ্চে থাকা নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি ছিল বামেদের।কংগ্রেসের মধ্যস্থতায় সেবার বরফ গলে ।কিন্ত, বামেরা বুঝে যায়,নোটবন্দি যৌথ আন্দোলনের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠছেন মমতা। ন্যাশনাল মিডিয়ার ফোকাসই ঘুরে যাচ্ছে তাঁর দিকে। তাই এবার আর রিস্ক নিতে রাজি নয় আলিমুদ্দিন। সোনিয়ার আমন্ত্রণ আসতেই  দিল্লির কোর্টে বল ঠেলে দেন সূর্য-সেলিমরা। রাজ্য কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়ে ইয়েচুরিও বুঝে যান, সংসদে একজোট হলেও, রাস্তায় নেমে আন্দোলনের ক্ষেত্রে তৃণমূলের হাত ধরায় আপত্তি আছে বঙ্গ ব্রিগেডের একাংশের। তাঁদের যুক্তি, সারদা- নারদার মতো ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতেই দিল্লিতে অতিসক্রিয় তৃণমূল নেত্রী। প্রশ্ন তুলছেন ইয়েচুরিও।


সবদিক ধরে রাখতে আপাতত ব্যাকট্রাক করাই বেটার মনে করছেন CPM নেতারা। তাই, সোনিয়ার আমন্ত্রণে না ইয়েচুরির।