নিজস্ব প্রতিবেদন- হাথরসের নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার দায়িত্বে এবার সিআরপিএফ। সুপ্রিম কোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছিল, নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের নিরাপত্তার দায়িত্ব যেন সিআরপিএফ জওয়ানদের দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মেনে এবার পদক্ষেপ সরকারের। নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, তাঁদের যেন গ্রাম থেকে দূরে কোথাও থাকার ব্যবস্থা করা হয়। কারণ, গ্রামে তথাকথিত উঁচু জাতের লোকজন তাঁদের ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল। তা ছাড়া এই মামলা উত্তরপ্রদেশ থেকে সরিয়ে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ারও আবেদন করেছিলেন তাঁরা। সেই আবেদন অবশ্য গ্রাহ্য হয়নি। শীর্ষ আদালত মামলা আবার এলাহাবাদ কোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে পরিজনদের নিরাপত্তার দিকটি সুনিশ্চিত করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, এবার বিচারপতি তদন্তের গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখবেন। সিবিআইকে সেই মতো তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে। এদিন সিআরপিএফের ২৩৯ বি ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা নির্যাতিতার গ্রামে গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, ১০০ জন জওয়ানকে নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনদের নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হবে। এছাড়া বেশ কিছু পুলিসকর্মীও থাকবেন। এদিন সিআরপিএফ আধিকারিকরা নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। জানা গিয়েছে, পরিবারের মহিলা সদস্যদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। এমনকী, মহিলা পুলিসকর্মীদেরও দায়িত্ব দেওয়া হবে। 


আরও পড়ুন-  ''আমাদের মেয়েদের সম্মান নিয়ে খেললে জীবন শেষ করে দেব'', হুমকি যোগী আদিত্যনাথের


নির্যাতিতর গ্রাম ও বড়ির চারপাশ ঘুরে দেখেন জওয়ানরা। সিআরপিএফের মহিলা উইং-এর সদস্যরাও ছিলেন। আপাতত মহিলা উইং-এর ২৫ জন কর্মীকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। রামপুর ব্যাটেলিয়ন থেকে রবিবারই জওয়ানরা নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদরে নিরাপত্তায় চলে আসবেন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।