নিজস্ব প্রতিবেদন: প্লাস্টিকের দ্রব্য ব্যবহারের পাশাপাশি কমাতে হবে পূনর্বব্যহারের অযোগ্য প্লাস্টিকের উত্পাদন। আগামী ২ অক্টোবরের মধ্যে উত্পাদন কমাতে হবে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ, থালা-বাসন ও থার্মোকলের। বুধবার এ বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরিকল্পনামাফিক ২০২২-এর মধ্যে ভারতে পূনর্বব্যহারের অযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া নেওয়া হল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক থেকে চলতি মাসের শুরুতেই সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি দফতরে প্লাস্টিক দ্রব্য, ফুল, বোতল, বাসন, ক্যারিব্যাগের ব্যবহার কমানোর বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়। তার বদলে প্লাস্টিকের বিকল্প অর্থাত স্টিলের বোতল, পাতার থালা, কাগজের ক্যারিব্যাগ ব্যবহারে জোর দিতে অনুরোধ করা হয়। তবে, অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, যেখানে প্লাস্টিকের দ্রব্য রমরমিয়ে উত্পাদিত ও বিক্রি হচ্ছে, সেখানে ব্যবহার কমানোর চেষ্টা কতটা ফলপ্রসু হবে। এবার সেই লক্ষ্যেই এগোল কেন্দ্র। প্লাস্টিকের দ্রব্য উত্পাদনে লাগাম টানাতে রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দিল পরিবেশ মন্ত্রক। তবে, ঠিক কোন কোন প্লাস্টিকের দ্রব্যের ব্যবহার কমানোর উপর জোর দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু স্পস্ঠ করেনি কেন্দ্র। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই সে বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে। 


আরও পড়ুন: "বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ ফিরলে তবেই নামব", ব্রিজের মাথায় চড়ে বললেন রজনীকান্ত


পরিবেশ মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী উত্পাদন কমানোর পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে প্লাস্টিক ব্যবহার কমানোর বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে। টিভি ও রেডিয়োতে এ বিষয়ে প্রচার করতে হবে। পরিবেশ রক্ষার্থে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পর্যটনস্থল, ধর্মীয় স্থান, সমুদ্র সৈকতে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর বিষয়েও জোর দিতে বলা হয়েছে। 


বিশেষজ্ঞদের মতে, এক ধাক্কায় প্লাস্টিকের উত্পাদন বন্ধ করা হলে, তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। উত্পাদনকারী সংস্থাগুলি সমস্যায় পড়তে পারে। তাছাড়া প্লাস্টিকের বিকল্পের জোগানেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ২০২২ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে কমিয়ে আনা হবে পূনর্ব্যবহারের অযোগ্য প্লাস্টিকের উত্পাদন।