নিজস্ব প্রতিবেদন: কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ঘিরে তুলকালাম রাজধানীর রাজনীতি। পূর্ণ সময়ের জন্য নেতা ও সংগঠনে সংস্কার চেয়ে সোনিয়াকে পাঠানো ২৩ নেতার চিঠিকে ঘিরে উত্তাল বৈঠক। এর মধ্যেই ওইসব পত্রলেখক কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বিজেপি যোগের অভিযোগ, সিব্বলের রাহুলকে আক্রমণ, গুলাম নবি আজাদের ইস্তফা দিতে চাওয়া-সবেমিলিয়ে হাইড্রামায় সরগরম কংগ্রেসের বৈঠক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কংগ্রেস নেতাদের বিজেপি যোগের কথা বলেননি রাহুল! আস্তিন গুটিয়েও শেষপর্যন্ত সামলে নিলেন সিব্বল   


সভার শুরুতেই দলের সভাপতির পদ ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন সোনিয়া গান্ধী। সূত্রের খবর, তার পরেই রাহুল অভিযোগ তোলেন, যারা দলের খোলনোলচে বদলের কথা চিঠিতে লিখেছেন তাদের সঙ্গে বিজেপি যোগ রয়েছে। এতেই খেপে ওঠেন গুলাম নবি আজাদ। খবর পেয়ে রাহুলের বিরুদ্ধে টুইট করে বসেন কপিল সিব্বল। গুলাম নবি বলেন, বিজেপির সঙ্গে যোগ রয়েছে প্রমাণ হলে দলের সব পদ থেকে ইস্তফা দেব। প্রসঙ্গত, রাহুল ওই কথা বলেননি বলে দাবি করেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। পরে সিবব্ল জানান তাঁর সঙ্গে রাহুলের এনিয়ে কথা হয়েছে। তিন বিজেপি যোগের কথা বলেননি বলে জানিয়েছেন।


সভায় বহু কংগ্রেস নেতার রাগ গিয়ে পড়ে গুলাম নবি আজাদের ওপরে। কারণ সোনিয়াকে লেখা চিঠিতে তিনি সাক্ষর করেছিলেন। সাক্ষরকারী কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির অন্য দুই নেতা হলেন মুকুল ওয়াসনিক ও আনন্দ শর্মা। এমনকি গুলাম নবির সমালোচনা করেন ড মনমোহন সিংও। তিনি প্রস্তাব  দিয়েছেন, এআইসিসির পূর্ণ বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত সোনিয়াই দলের সভাপতি থাকুন। প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সমালোচনার লক্ষ্যও হন গুলাম নবি।


আরও পড়ুন-২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হারানো পদ ফেরৎ পেলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী


এদিকে, কংগ্রেস নেতাদের সমালোচনা লক্ষ্য এখন গুলাম নবি। সূত্রের খবর, গুলাম নবির সঙ্গে ওই চিঠিতে সাক্ষরকারী নেতারা এখন বলছেন, তাঁরা কংগ্রেস প্রতি অনুগতই রয়েছেন। দল চাইলে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা নিতে পারে। এর জন্য তাঁরা তৈরি।