নিজস্ব প্রতিবেদন: ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে তাণ্ডব শুরু করল ঘূর্ণিঝড় দয়া। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ এটি ওড়িশার গোপালপুর ও অন্ধ্রের শ্রীকাকুলামের মধ্যের ভূভাগে প্রবেশ করে। রাত পেরিয়ে সকাল হতেই দক্ষিণ ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের গোপীনগর সহ বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে প্রবল ঝড় ও টানা বৃষ্টি। সকালে এটি শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপের আকার ধারন করেছে। তবে এর প্রভাবে ওড়িশার বিভিন্ন জেলায় প্বল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-দলিত ছেলেকে বিয়ের 'শাস্তি', মেয়েকে কোপাল বাবা!


আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, দয়া-র প্রভাবে বালানগির, বারহা, ঝাড়সুকদা, সম্বলপুর, সুন্দরগড়, কেওনঝড়, কোরাপুট সহ ওড়িশার বিশাল এলাকার প্রবল বর্ষণ হতে পারে। সেটাই হয়েছে। ভুবনেশ্বরে আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা এইচ আর বিশ্বাস বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে জানান,  আগামী ৬ ঘ্টায় ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ দুর্বল হয়ে তা উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে যাবে।


ঝড়ের প্রভাবে রাজ্যে প্রবল ক্ষতির আশঙ্কা করছে ওডি়শা সরকার। বৃহস্পতিবার বিরপর্যয় মোকাবিলায় সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। রাজ্যের প্রতিটি জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে। উপকূলবর্তি সবকটি জেলায় উদ্ধারকার্যের জন্য তৈরি রাখা হয়েছে নৌকো। দেখানো হয়েছে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত। এর প্রভাবে ঝ়ড়ের গতি ৩০-৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় হতে পারে।


আরও পড়ুন-বুক পকেটে রাখা নতুন অ্যানড্রয়েড ফোন! ধোঁয়া বেরোতে দেখেই হতভম্ব প্রৌঢ়


দয়া-র প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খণ্ডেও পড়তে পারে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে হালকা হওয়ার দাপট। দিল্লির হাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হবে। পাশাপাশি হাওয়া ও হুগলিতে প্রবল বর্ষণ হবে। পাশাপাশি দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামেও প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।