COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়েব ডেস্ক: হুদহুদ মোকাবিলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আজই জরুরি বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্ধ্র এবং ওড়িশার প্রশাসনিক কর্তা এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এদিকে হুদহুদ আছড়ে পড়ার আগেই ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যের সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রেখেছে প্রশাসন। অন্ধ্রের পাঁচ জেলা থেকে ইতিমধ্যেউ লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওড়িশার আট জেলাতেও যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় উদ্ধারকাজ চলছে। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে NDRF-এর ৪০টি দল, তিন কোম্পানি সেনা জওয়ান, ১০টি হেলিকপ্টার। তৈরি থাকতে বলা হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনাকে।  


হুদহুদ নিয়ে বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের বাসিন্দাদের উদ্দেশে তাদের অনুরোধ, ঝড় থাকার পরেও যেন তাঁরা বাড়ি থেকে না বেরোন। কারণ ঘূর্ণাবর্ত দুই খেপে আসে। একবার ঝড় থামার পরেও ফের শুরু হয়। হুদহুদ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে অন্ধ্র ও ওড়িশার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন জি মিডিয়ার প্রতিনিধি প্রসাদ ভোঁসেকর।


ধেয়ে আসছে হুদহুদ। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার প্রহর গুণছে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা প্রশাসন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার দুপুরের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম এবং ওড়িশার গোপালপুরের মাঝামাঝি এলাকায় আছড়ে পড়বে হুদহুদ। স্থলভূমিতে প্রবেশ করার সময় এই সাইক্লোনের গতিবেগ থাকবে একশো পঞ্চাশ কিলোমিটার। এর প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম, বিজয়নগরম ও শ্রীকাকুলাম জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ভারী বৃষ্টি ও প্লাবনের আশঙ্কা করা হচ্ছে পূর্ব এবং পশ্চিম গোদাবরী জেলাতেও। চ্যালেঞ্জের মুখে ওড়িশা সরকারও। ওড়িশার দক্ষিণ অংশের মালকানগিরি, কোরাপুট, নবরঙ্গপুর, রায়গড়া, গজপতি, গঞ্জা, কালাহান্ডি এবং কন্দমাল জেলায় মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।