জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : সাইরাস পালোনজি মিস্ত্রি (Cyrus Mistry)। নামে নেই টাটা, কিন্তু দীর্ঘ একটা সময় জুড়ে সামলেছেন টাটার (TATA) ব্যবসা। বাপ-ঠাকুরদার মতই চাকরি জীবন নয়, বেছে নিয়েছিলেন ব্যবসা। জীবনে সাফল্য়ের পথে উত্থানের মতই বিদায় নিলেন খুব তাড়াতাড়ি। বয়স ছিল মাত্র ৫৪ বছর। পুলিস সূত্রে খবর, এদিন আহমেদাবাদ থেকে মুম্বই ফেরার পথেই ভয়ঙ্কর গাড়ি দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলেই মারা যান প্রখ্য়াত শিল্পপতি। চালকের পাশের আসনটি একেবারে বনেটের সঙ্গে পিষে গিয়েছে। সাইরাসের গাড়িটি রাস্তার পাশের ডিভাইডারে গিয়ে প্রবল বেগে ধাক্কা মারে। আপতত এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তবে এনিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু জীবদ্দশায় তাঁর সাফল্যের পথ ছিল খুবই স্বচ্ছ। জানেন কি, দেশের অন্যতম সফল শিল্পপতির জীবনকাহিনী!


পরিবার


১৯৬৮ সালে ৪ জুলাই, বম্বের প্রেসিডেন্সিতে এক পার্সি পরিবারে জন্ম হয় তাঁর। বাবা পালোনজি মিস্ত্র আয়ারল্যান্ডের নাগরিক ছিলেন। সাইরাসের দাদাও পরবর্তীকালে বাবার মতই আয়ারল্যান্ডের নাগরিক হয়ে থেকে যান। মা প্যাটসি পেরিনও ছিলেন আইরিশ। পরিবারের কনিষ্ঠতম সন্তান ছিলেন তিনি।


আইনজীবী ইকবাল ছাগলার মেয়ে ও আইনজ্ঞ এমসির নাতনি, রোহিকা ছাগলাকে বিয়ে করেন। ফিরোজ মিস্ত্রি ও জাহান মিস্ত্রি তাঁদের দুই সন্তান।


পড়াশোনা


স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে, উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডনে পাড়ি দিয়েছিলেন। লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজে পড়াশোনা শেষ করার পর লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে প্রবেশ করেন। বিশ্বিবিদ্যালয়ের পর লন্ডনেরই বিজনেস স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন। আর সেখান থেকেই অর্জন করেন এগজিকিউটিভ মাস্টার্স ইন ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রি।


ব্যবসায়িক জীবন 


প্রায় তিরিশের দশকে টাটা সন্সের কিছুটা স্বত্ব দখল নিয়েছিলেন সাইরাসের ঠাকুরদা সাপুরজি মিস্ত্রি। পরবর্তীকালে সেই ব্যবসার হাল ধরেন বাবা ও বাবার পর খোদ সাইরাস। ২০১২ সালে চেয়ারম্যান পদে বসেন এবং ২০১৬ সাল অবধি সেই পদে বহাল ছিলেন তিনি। বর্তমানে টাটা সন্সে সাইরাস মিস্ত্রির ১৮.৪% স্টেক রয়েছে। ১৯৯১ সাল থেকেই পারিবারিক ব্যবসার সাথে যুক্ত ছিলেন সাইরাস।


রবিবার ৪ সেপ্টেম্বর পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রখ্য়াত এই শিল্পপতির। সাইরাসের গাড়িটি রাস্তার পাশের ডিভাইডারে গিয়ে প্রবল বেগে ধাক্কা মারে। মিস্ত্রির ওই মার্সিডিজে ছিলেন মোট ৪ জন। এদের মধ্যে দুজন এখন হাসপাতালে। মিস্ত্রি ছাড়ও আরও একজন নিহত হয়েছেন। রবিবার বিকেল ৩.১৫ নাগাদ হাইওয়েতে সূর্য নদীর সেতু পার করার সময় সাইরাসের গাড়িটি বাঁদিকে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে সেখানেই আটকে যায়। পরে ক্রেন এনে গাড়িটিকে টেনে বের করতে হয়।ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।