নিজস্ব প্রতিবেদন: হাথরসের পর তেলঙ্গানার খাম্মাম। ফের নিশানায় দলিত কন্যা। ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় এক দলিত কিশোরীর গায়ে আগুন লাগিয়ে দিল এক যুবক। দেহে সত্তর শতাংশ পোড়া ঘা  নিয়ে হায়দরাবাদের ওসমানিয়া হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে ওই নাবালিকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ধর্ষণ মানে 'বেইজ্জতি' নয়, শরীরের জবরদখল আসলে ক্ষমতার-রাজনীতি!


ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে প্রায় ২ সপ্তাহ পর। খাম্মামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক অগ্নিদগ্ধ রোগীর খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিস। সঙ্গে সঙ্গে ১৩ বছরের ওই নাবালিকাকে হায়দরাবাদের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।


পুলিস সূত্রে খবর, নাবালিকার বাড়ি খাম্মাম শহর লাগোয়া পাল্লাগাদামে। পরিচারিকা হিসেবে কাজ করতো খাম্মামের মুস্তাফা নগরে মারাইয়া নামে এক বিবাহিত তরুণের বাড়িতে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বাড়িতে কাজ করার সময়ে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে মারাইয়া। বাধা পেয়ে চিত্কার করতেই তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় সে। এরপর দগ্ধ ওই কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় মারাইয়া-ই।


আরও পড়ুন-'মমতা-মুকুল এক কোম্পানি...' নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে যৌথ মিছিল পা মেলাল বাম-কংগ্রেস


গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত কেন এতবড় একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসেনি তা স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, পরিবারের তরফে ঘটনাটি চেপে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কারণ অভিযুক্তের পরিবারের তরফে কিশোরীর উপযুক্ত চিকিত্সার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু ১৭ দিন পর পুলিসের কানে বিষয়টি যেতেই তা প্রকাশ্যে চলে আসে।


খাম্মামের অতিরিক্ত পুলিস কমিশনার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, খবর পেয়েই দগ্ধ ওই কিশোরীকে ওসমানিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার বয়ানও রেকর্ড করা হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পক্সো আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।