নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তরপ্রদেশের হাথরসের পর এবার বিহারের গয়া। নিশানায় সেই দলিতই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এবার এক দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল গয়ায়। হাথরসের মতো এখানে নির্যাতিতাকে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়নি। বরং নিজেই আত্মহত্যা করেছে ওই মহাদলিত কিশোরী।


আরও পড়ুন-সংগঠনের অন্দরে কলহ চরমে! ছত্তীসগঢ়ে দলের ক্যাডারদের হাতেই খুন মাওবাদী নেতা  


নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, এলাকারই ৪ তরুণ গণধর্ষণ করেছে তাদের মেয়েকে। রাহুল কুমার, চিন্টু কুমার ও চন্দন কুমার নামে তিন জনের নাম এখনও পুলিসের হাতে এসেছে। চতুর্থজনকে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। ওই ৪ জনের নামে পুলিসে এফআইআর করেছে নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল শুক্রবার আত্মঘাতী হয়েছে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই কিশোরী। সূত্রের খবর, ওই কিশোরীর মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়েছে গয়া মেডিক্যাল কলেজে। রিপোর্ট এখনও আসেনি।


উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ধর্ষণ ও খুন নিয়ে দেশের রাজনীতি যখন তোলপাড় তখন গয়ার এই ঘটনা নিয়ে আরজেডি সহ অন্যান্যরা রাজ্যে যে তোলপাড় করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। করোনা মহামারী-সহ একাধিক ইস্যুর সঙ্গে যোগ হবে এই ঘটনাও।


আরও পড়ুন-দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়াল, একদিনে মৃত্যু ১,০৬৯ জনের


উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দিল্লির সফদর জং হাসপাতালে মৃত্যু হয় হাথরসের গণধর্ষিতা তরুণীর। এনিয়ে তোলপাড় হচ্ছে দেশের রাজনীতি।  গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে যোগীর পুলিসের বিরুদ্ধে। তাদের বক্তব্য ধর্ষণই হয়নি।


এদিকে, মৃতদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার পরবর্তি নিজেরাই পুড়িয়ে দেয় হাথরসের তরুণীর দেহ। কোনও সংগঠন বা রাজনৈতিক দলকেই গ্রাম ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিস।  রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকেও নির্যাতিতার বাড়িতে যেতে দেওয়া হয়নি। এনিয়ে তোলপাড় রাজ্য। আসরে নেমেছে ভীম আর্মি-সহ একাধিক দলিত সংগঠন।